আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বদলি হলেও যায় না

অ.শুভ:

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের এল এ শাখার সার্ভেয়ার আরিফুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে ভূমি অধিগ্রহনের শাখায় কর্মরত তারা। একাধিকবার তাদের বদলি করা হলেও উপর মহলের মাধ্যমে তারা ফের নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন।

অভিযোগ রয়েছে এল এ শাখায় কাজ করে তারা অনেক টাকা কামিয়েছেন এ জন্য তারা নারায়ণগঞ্জে বদলি নিয়ে চলে আসেন। সম্প্রতি সেপেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাদের দুইজনকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কায়লয়ের এল এ শাখায় বদলি করা হয়েছে। তবে তারা এখনো নারায়ণগঞ্জেই কাজ করছেন। সিনিয়র সহকারি কমিশনার (এল এ শাখা) বলছেন, দুইদিনের মধে চলে যাবেন তারা।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যলয় থেকে নেত্রকোনা ডিসি অফিসে বদলি করা হয় জহিরুল ইসলামকে। তিনি ওই বছরই আবার বদলি হয়ে ঢাকা ডিসি অফিসে চলে আসেন। সেখান থেকে ফের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি হয়ে আসেন। পরে সংযুক্ত করা হয় জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের এল এ শাখায়।

এই শাখার আরেক সার্ভেয়ার আরিফুর রহমান। গত বছর তাকে ঢাকা জেলার ডিসি অফিসে বদলি করা হয়। তবে বছর না যেতেই তিনি ফের নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। সম্প্রতি তাকে আবার ঢাকা ডিসি অফিসে বদলি করা হয়েছে তবে এখানো তিনি নারায়ণগঞ্জেই কমরর্ত আছেন। এর আগে তিনি ফতুল্লা সার্কেল সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে কর্মরত ছিলেন কয়েক বছর।

ডিসি অফিসের রাজস্ব শাখার উচ্চমান সহকারি তাসলিমা আক্তার বলেন, রবিবার তিনি এল এ শাখার সার্ভেয়ার জহিরুল ইসলামকে দেখেছেন ডিসি অফিসে। জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের কর্মচারিরা জানিয়েছেন, আরিফুর রহমান এখনো এখানেই কাজ করছেন, তিনি বদলিকৃত স্থানে যাননি।

সূত্রে জানা গেছে, ডিসি অফিসের এল এ শাখার সার্ভেয়ার জহিরুল ইসলামের সিদ্ধিরগঞ্জের আট্টিগ্রাম ও হিরাঝিল এলাকায় বহুতল বাড়ী রয়েছে আছে। আরেক সার্ভেয়ার আরিফুর রহমান অনেক টাকার মালিক। নারায়ণগঞ্জে চাকুরি করে তারা ধনী হয়েছে এ জন্য এই তারা দুইজন জেলা ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে চায় না। সূত্র জানিয়েছেন গত ৩ সেপেম্বর এই দুইজনকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের এল এ শাখায় বদলি করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে তারা এখনো নারায়ণঞ্জেই কর্মরত করছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাদের বদলি করা হলেও উপর মহলের মাধ্যমে তারা নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। যা এর আগেও হয়েছে। তাদের টাকা আছে সেই সাথে আছে প্রভাবশালীদের ছাঁয়া। সেই ছাঁয়া ও টাকাকে কাজে লাগিয়ে তারা ফের নারায়ণগঞ্জে ফেরত আসেন। সহকর্মীরা বলেন, তাদের টাকা কমানো গাছ তো নারায়ণগঞ্জে অন্য জেলায় গিয়ে কি করবেন।

এ প্রসঙ্গে সিনিয়ন সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (এল এ শাখা ) মোহাম্মদ নুর-এ আলম জানান, জহিরুল ইসলাম ও আরিফুর রহমানের বদলির আদেশ হয়েছে। তারা এখনো নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিসে কর্মরত আছেন। তবে ১৫ সেপেম্বর অথবা ১৬ সেপেম্বরের মধ্যে বদলিকৃত স্থানে চলে যাবেন বলে জানান তিনি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ