আজ মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঞ্চিতদের প্রস্তুতি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

জাতীয় নির্বাচন এলে তাদেরকে এলাকায় দেখা যায়। নির্বাচন শেষে কিছু নেতা কোথায় যায় কর্মীরা তাদেরকে খুঁজে পায় না। সাধারণ লোক তো তাদের ছায়াও দেখতে পায় না। দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাদেরকে দেখা যায় খুব কম । বয়সের কারণে আবার অনেকে অসুস্থ থাকে। এরা হলেন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

গত নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। সম্প্রতি নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় তাকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছিলো ডিবি পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ ৫ (সদর-বন্দর) আসনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী করা হয়েছিলো সাবেক এমপি নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে। জাতীয় নির্বাচনের পর তাকে জনসম্মুখে দেখা যায় না। সদর -বন্দরে ইউপি নির্বাচন হচ্ছে সেখানে তার কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

নারায়ণগঞ্জ-১ ( রূপগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। জেলা কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতি থেকে তিনি দূরে সরে যাচ্ছেন। তাকে এখন রাজনীতিতে সক্রিয় দেখা যায় না। এ আসনে গত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. তৈমূর আলম খন্দকার, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. মোস্তাফিজুর রহমান দীপু ভুঁইয়া সরব হচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তৈমূর আলমের প্রশংসা করেছেন।

আড়াইহাজারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরকে বাদ দিয়ে গত সংসদ নির্বাচন সেখানে বিএনপি প্রার্থী করেছিলো নজরুল ইসলাম আজাদকে। বিশাল ভোটের ব্যবধানে আজাদ হেরে যায়। সুত্রের খবর কর্মীরাও তাকে সময় মতো কাছে পাচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের সাথে আতাঁত করে চলার অভিযোগ রয়েছে । সম্প্রতি তাকে জুতাপেটা করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা যুবদলের সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক। এ নিয়ে নানা নাটক হচ্ছে।

এদিকে আড়াইহাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন দলটির তিনবারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর। গত ২ নভেম্বর দিনব্যাপী আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ,পৌরসভা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের খোঁজ নিতে তিনি আড়াইহাজারে যান। এসময় তিনি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের খোঁজ নেন। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এসময় বিএনপি নেতা আতাউর রহমান আঙ্গুর বলেন, আমি ১৯৯১,১৯৯৬ এবং ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিন বার আড়াইহাজার আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলাম। আড়াইহাজারে দলমত নিবিশেষে কাজ করেছি। এখন দলকে সু-সংগঠিত করতে মাঠে নেমেছি। ২০২৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হলে বিএনপি দুইশ এর অধিক আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। আড়াইহাজার থেকে আমরাও জয়ী হবো।

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে সভা সমাবেশ করতে দেয় না। আমরা মাঠে আছি। যতটুকু পারছি নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তিনি মাঠে থাকায় চিন্তায় পড়ছে আজাদ সমর্থকরা। তাদের মধ্যে স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সুত্রের খবর আড়াইহাজারে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে আঙ্গুর কিন্তু আজাদ এর বিপক্ষে।

এদিকে ২০২৩ সালের শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। গত নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে যারা ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সেই সব আসনে এখন মনোনয়ন বঞ্চিতরা সরব হচ্ছে। এবার কে দলীয় মনোনয়ন পায় সেটা এখন দেখার অপেক্ষা।

দলের একাধিক নেতা এই প্রতিবেদক বলেন, গতবার যারা ধানের শীর্ষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, নির্বাচনের পর থেকে তাদেরকে এলাকায় খুব কম দেখা যায়। তারা কে কই গেল তা নিয়েও হতাশ কর্মীরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ