আজ বুধবার, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর এ শ্রদ্ধা জানান তারা।

জাতির পিতার স্মরণে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। এরপর বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত হয়।

পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে ছোট বোন শেখ রেহানা ও দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে শেখ রেহানা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ৯টা ৫০ মিনিটে তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে এসে টুঙ্গিপাড়ায় হেলিপ্যাডে নামেন। এ সময় তাকে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা স্বাগত জানান। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রবেশ করেন।

এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী থেকে এক বছর মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। বছরটি সাড়ম্বরে উদযাপনের সব প্রস্তুতি নিলেও নভেল করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আয়োজন সীমিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

দিনটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। এ দিবসে স্কুল-কলেজে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও সেটাও এবার আর হচ্ছে না। পরিবর্তিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর জন্মক্ষণের সঙ্গে মিল রেখে রাত ৮টায় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে; যা টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে ‘মুক্তির মহানায়ক’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠান শুরু হবে।

দিনটি উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বনানী করাইল বস্তি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে এতিম ও দুস্থদের মাঝে খাবার ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। সারা দেশে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একই কর্মসূচি থাকছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ