আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বক্তাবলীতে ৩০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নে রামনগর বিসমিল্লাহ মার্কেট থেকে রাধানগর যাতায়াতের রাস্তার এক কিলোমিটার জুরে অর্ধেক সড়কই কাঁচা। দীর্ঘদিনেও সড়কের কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যায় মাটির রাস্তাটি। এর উপর সড়কটি খানা খন্দে ভরা। যে কারনে অটোরিক্সা ইজিবাইক নিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পরে এমনকি পায়ে হেটে আসা যাওয়া করতেও বিড়ম্বনায় পরতে হয়।

এমন বেহাল সড়কের জন্য ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। রাধানগর থেকে রামনগর রুপার বাড়ির ব্রীজ পর্যন্ত এরসিসি ঢালাই দেয়া হলেও বাকি আধা কিলোমিটার রাস্তা কাচাঁ। পাকা রাস্তা না থাকায় এখন পর্যন্ত মাটির রাস্তায় চলাচল করছেন তারা। মেরামতের অভাবে তাও এখন চলাচল অযোগ্য। এনিয়ে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এলাকাবাসির ক্ষোভ।

স্থানীয়বাসিন্দা জানান, আলীরটেক বক্তাবলী দুটোই ইউনিয়নের যোযোগের রাস্তা। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। দীর্ঘ এক যুগ আগে নির্মিত এই মাটির রাস্তা কখনো পূর্নসংস্কার হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। তবে গত বছরে রাধানগ থেকে রামনগর বিসমিল্লাহ মার্কেট রুপার বাড়ির ব্রীজ পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই দেয়া হয়েছে বলে তারা জানান।

বিসমিল্লাহ মার্টেক এলাকার সাদিক বলেন, আলীরটেক বক্তাবলীর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের চলাচল হয় এই রাস্তা দিয়ে। কিন্তু রাধানগর থেকে রুপার বাড়ির ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তায় ঢালাই থাকায় গাড়ি আসতে পারলেও, ব্রীজের পরের অংশ কাচা রাস্তা হওয়ায় যাওয়া যায়না। একটু বৃষ্টি আসলে আর কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না । এই দুর্ভোগ স্বাধীনতার পর থেকে চলে আসছে। কত চেয়ারম্যান আসলো আর গেলো কিন্তু আমাদের এই এলাকার রাস্তার উন্নয়ন হলনা। আমরা সাধারণ মানুষ কষ্ট থেকে রেহাই চাই।

অটো রিকশাচালক আনোয়ার হোসেন জানান, এ রাস্তায় গতের্র কারণে ঠিকমতো গাড়ি চালাতে পারি না। তারপরও ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাতে হয়।
বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, এ রাস্তাটির বাস্তবায়নের এলজিইডি বরাদ্দ থাকলেও ফান্ড কম থাকায় সড়কটির সংস্কার কাজ পুরোপুরি শেষ করা যায়নি। আমরা আশা করি আগামি ডিসেম্বরের মাঝে শেষ হয়ে যাবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ