আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফেরী চালুর ঘোষনার পরও মিলেনি ফেরী

ফেরী

ফেরী চালুর ঘোষনার পরও মিলেনি ফেরী

ফেরী

নিজস্ব প্রতিবেদক :  রাজধানী হইতে সতের কিলোমিটার দুরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পারে বন্দর উপজেলা। পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশনের নয়টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লোকের বসবাস। এই বিশাল সংখ্যার লোকদের বন্দর ও নবীগঞ্জ গুদারা ঘাট দিয়ে সদরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও কর্মস্থলে আসার জন্য শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাদিক লোক পারাপার হয়। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদী পারাপার করতে হয় এই বিশাল জনসংখ্যার লোকদের।
গত তেইশ নভেম্বর বন্দর উপজেলায় একটি স্কুল উদ্বোধন করতে এসে সেতু ও সড়কপথ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নবীগঞ্জ খেয়া ঘাটে পঁনের দিনের মধ্যে ফেরী চালুর ঘোষনা দেন। কিন্তু পঁনের দিন পার হলেও মিলেনি ফেরী। বরং বেড়েছে জনদূর্ভোগ।
ঘাট পরিচালনায় অনিয়ম ও শিশু ট্রলার চালক অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। অনেক সময় নৌকা ও ট্রলার ডুবির ঘটনাও ঘটছে। লাশের মিছিল দিনদিন বড় হচ্ছে কিন্তু দেখার যেন কেউ নেই। এ সকল বিষয়ে অনিয়ম ও দূর্ভোগের কথা স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ পেলেও কোন ব্যবস্থা প্রসাশন না নেওয়ায় লাশের মিছিল বাড়ছেই। যতই দিন যাচ্ছে সেই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন জীবন। খোঁজ নিলে বিস্তারিত আরোও জানা যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ঘাটটি টোল ফ্রি করেন। তখন ঘাটটি পরিচালনার জন্য কাউন্সিলর আফজাল হোসেন ও কাউন্সিলর দুলাল প্রধানকে দায়িত্ব দেন। এবং মাঝিদের ঘাট পরিচালর জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলার নির্দেশ দিয়ে বলেন, প্রতি ট্রলারে পনের জন লোক জনপ্রতি দুই টাকা করে পারাপার করবে। রিজার্ভ পঁচিশ টাকা করে পারাপার করবে। কোন অজুহাতে দুই টাকার বেশী ভাড়া নেওয়া চলবে না।
কিন্তু গতকাল সরোজমিনে নবীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে দেখা যায় ভিন্নচিত্র। তিন ফিট সরু জেটি যা দিয়ে একসাথে আসা যাওয়া করা সম্ভব না। কৃত্রিম যাত্রীর জটলা তৈরী করে অধিক যাত্রী নেওয়ার ফাঁদ করেছেন ঘাট পরিচালনা কমিটি। দেখা যায় ত্রিশ জন করে যাত্রী নিয়ে পারাপার করে এবং অফিসের সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। চল্লিশ জনের বেশী লোক নিয়ে পারাপার হয় ট্রলার চালকেরা। রিজার্ভ পঁচিশ টাকার পরিবর্তে চল্লিশ টাকা করে পার হতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উত্তরপাড়া নিবাসী এক যাত্রী জানায় পনের জন যাত্রী নিয়ে ট্রলার ছাড়তে বললে স্থানীয় ট্রলার মালিক হওয়ায় চালকরা খারাপ ব্যবহার করছেন। অনেক সময় হাতা হাতি হয়ে থাকে তাই বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হই। আর ঘাটে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশ্ন করলে নানা অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তেমনি এক গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন এমপি সাহেব আমদের বিনা পয়সায় ঘাট পারাপারের ব্যবস্থা করেছেন কিন্তু এই ঘাটে কোন ফ্রি ট্রলার চলেনা। আমদের প্রতিদিন চার টাকা খরচ করে পারাপার হতে হয়। সর্বশেষ ট্রলার ডুবির ঘটনায় সিনথি (২১) নামে এক গৃহবধুর লাশ পাওয়া যায় ও শহিদুল (২৭) নামে এক জনের নিখোঁজ এর খবরে স্থানীয় প্রসাশনের নিরব ভূমিকার জন্য সমলোচনা করেন স্থানীয় জনগন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ