আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফিলিস্তিনে হামলা, ইহুদি রাষ্ট্রকে বাইডেনের জোরালো সমর্থন

অনলাইন ডেস্ক: গাজা ও পশ্চিমতীরে অব্যাহত হামলার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন।
শনিবার তিনি দুই নেতার সঙ্গে পৃথক ফোনালাপ করেন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার মধ্যে নেতানিয়াহুকে এটি বাইডেনের তৃতীয়বার ফোন। ইসরাইলি হামলাকে ’আত্মরক্ষার অধিকার’ বলে এর আগে বৈধতা দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবার তেলআবিবের প্রতি সমর্থন আরও শক্ত করার ঘোষণা দিলেন।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, গাজা থেকে হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী পক্ষের রকেট হামলা ঠেকাতে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আর এই অধিকারের প্রতি তার (বাইডেন) একনিষ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

তবে তিনি দুই দেশের মধ্যে চলমান লড়াইয়ে শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এবং গণমাধ্যমের কার্যালয় ধ্বংসের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। হামলা থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষিত রাখতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানান বাইডেন।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে বাইডেন বলেন, ইসরাইলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে হামাস যেন রকেট হামলা বন্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব জোরদারে নিজের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসের কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে কথা বলেননি। ফলে আব্বাসকে করা তার এই ফোনকল কোনো কাজে আসবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে না। কারণ গাজা উপত্যকায় আব্বাসের নিয়ন্ত্রণ খুবই কম। আব্বাস ও তার দল ফাতাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিমতীর। আর গাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হামাস সরকার। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র দেখে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। হামাস যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে।

ইসরাইল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখল করে নিতে চায়। এ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরাইলি বাহিনী।

এর দুদিন পর শবেকদরেও আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত সোমবার সেখানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল।

গত এক সপ্তাহে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় অন্তত ১৪৯ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এর মধ্যে ৪১ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন ৯৫০ জন।

আর অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনিদের পাল্টা হামলায় ১০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। ইসরাইল দাবি করেছে, এ পর্যন্ত শতাধিক রকেট ছুড়েছে হামাস।

এদিকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ রোববার (বাংলাদেশ সময় সোমবার) বৈঠক করতে যাচ্ছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ