আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় রাইটারের অফিসে চুরি

স্টাফ রিপোর্টার
ফতুল্লা মডেল থানার পাশে শহীদ নামে এক রাইটারের অফিস ও দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে থানার দেয়াল ঘেঁষা আমির সুপার মার্কেটে অবস্থিত ওই রাইটারের দোকানে কে বা কারা মামলা লেখার কাজে ব্যবহৃত ২টি ল্যাপ্টপ ও নগদ ৪ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ রাইটার শহীদ। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই রাইটার। অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই হুমায়ুন কবির।

এদিকে, থানার দেয়াল ঘেঁষা একজন রাইটারের অফিস ও দোকানে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় বিষ্মিত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, রাইটারের চুরি যাওয়া দুই ল্যাপ্টপে থানায় দায়েরকৃত অসংখ্য মামলার তথ্যাদি ছিল বলে জানা গেছে। এতে মামলাগুলোর গোপনীয়তা ও গুরুত্বপূর্ন তথ্য ফাঁস হওয়ার জোড়ালো সম্ভাবনা দেখছেন সচেতন মহল।

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, ‘চুরির বিষয়টি এখনো আমি অবগত নই। এমনটা হয়ে থাকলে বিষয়টি আপত্তিকর। আর থানার মামলার তথ্যাদি বাইরে বা কোন রাইটারের অফিসে থাকাটা এমনিতেই নিরাপদ নয় এবং এটা আইনসিদ্ধও নয়। যেহেতু এখন জানতে পেরেছি, সেহেতু বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’

এই বিষয়ে রাতে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

এদিকে গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় রাইটার শহীদের সাথে। সংবাদচর্চাকে তিনি জানান, ‘১১ এপ্রিল রাত ১২টার পর তিনি তার দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। ১২ তারিখ সকাল ১০টার দিকে খবর পান তার দোকানের শাটারের তালা খোলা। তাৎক্ষনিক দোকানে এসে দেখেন তার কাজে ব্যবহৃত দুইটি ল্যাপ্টপ ও দোকানে থাকা ৪ লাখ নেই। কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, ‘চুরি যাওয়া ল্যাপ্টপে চলমান মামলার কোন তথ্যাদি ছিল না।’

এদিকে, ঘটনার পর গতকাল সকালে ফতুল্লা বাজার ও আমির সুপার মার্কেটের দুই নৈশপ্রহরী জলিল ও শামসুদ্দিন, পার্শ্ববর্তী কাদির কম্পিউটার নামক দোকানের মালিক কাদির ও তার কর্মচারী হাসানকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাইটার শহীদ ও তার ছেলের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কাদির কম্পিউটারের মালিক আব্দুল কাদির।

অন্যদিকে, একজন রাইটারের অফিস বা দোকানে ৪ লাখ টাকা চুরি হওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা চলছে সর্বত্র। এই অর্থের উৎস নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই ইমানুর দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে বলে জেনেছি। কিন্তু ডিউটি পালনে বাহিরে থাকায় হাতে অভিযোগের কাগজ পাইনি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ