আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় বিএনপির সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির অধীনস্থ ৫ টি ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মাসদাইরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেন, আমি আগেই বলেছি আমার প্রথম প্রায়োরিটি আমার বর্তমান দায়িত্ব। আমি চাইলেই সভাপতি হব এমনটা নয়। বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আছেন এবং তারেক রহমান আছেন। আমি চাইলেই সভাপতি হয়ে যাব এমন দল বিএনপি না। আমি যদি কর্মী হিসেবে ভাল কাজ করতে পারি তাহলে অবশ্যই দল মূল্যায়ন করবে। বিএনপি কখনও অবমূল্যায়ন করে না। আপনারা সকলে যদি আমাকে সহযোগীতা করেন তাহলেই আমি কাজ করতে পারবো। আমি আপনাদের সাহায্য চাই, আপনারাও আমাকে সাহায্য করবেন। যদি আপনারা সাহায্য না করেন তারপরেও আমি চলতে পারি কারন দল আমার সাথে থাকবে। আমি এই দলের লোক। আমি অন্য কারও লোক না। আমি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ বিশ্বাস করি, আমি শহীদ জিয়ার একজন কর্মী।

তিনি বলেন, আজকে একচল্লিশ বছর এই দলের বয়স। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বয়স যখন একচল্লিশ তখন তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। চল্লিশ বছরের নিচে থাকার সময় তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। সারাবিশ্ব এটা জানে। আমরা সেই দলের লোক।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতৃত্বে আছি। আমরা বিগত কমিটিতে সদস্য ছিলাম। এখানে সকলকে সাথে নিয়েই কমিটি করা হবে। এখানে কোন বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই। টিটু সদস্য সচিব, সে যদি মনে করে আমি সেক্রেটারি হব তাহলে একটা চেয়ার তার। বাকি চেয়ারগুলো তো কাউকে দিতে হবে। বাকি পদে অবশ্যই দলের কর্মীদের পদায়ন করা হবে। তবে এটা সত্য যে আমাদের মধ্যে টানাপোড়েন রয়েছে।

দলের পালস আমাদের নিজেদের বুঝতে হবে। তারেক রহমান বলছে সম্মেলন করতে। আমরা কর্মী সম্মেলন করতে এলাকায় যাব, মারামারি হবে বিশৃঙ্খলা হবে। তখন দেখা যাবে আমরা মামলার শিকার হব। যদি দলের জন্য আমরা মিছিল করতে গিয়ে জেলে যাই তাহলে সেটা দলের জন্য। যদি আমরা দলের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে গিয়ে মামলার শিকার হই, জেলে যাই তাহলে সেটা দলের দুর্নাম।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটুসহ যুগ্ম আহবায়করা। তবে যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা এসময় উপস্থিত ছিলেন না।

আরো উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক একরামুল কবির মামুন, রুহুল আমীন শিকদার, এম এ আকবর, ওমর আলী, অ্যাডভোকেট আল আমিন সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন, বাবুল আহমেদ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ