আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় দুই হাজী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা

ফতুল্লায় দুই হাজী গ্রুপ

 

ফতুল্লা প্রতিনিধি:
ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকায় প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে সামেদ আলী বাহিনীর সাথে রহিম হাজীর বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সমেদ আলীর বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হলো ২ টি । আর অপর দিকে, সমেদ আলীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেছে স্ত্রী রহিম হাজী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই দুই পরিআরের মারামারি ও বিবাদের নেপথ্যে রয়েছে ঢাকা জেলা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানাধীন জাজিরার ভূমিদস্যু আবুল কাশেম ওরফে নেতা কাশেম এমনটাই বলছে আকবর নগর ও জাজিরার জন সাধারন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, ঢাকা জেলার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ পূর্ব জাজিরা এলাকার ফাতেমার স্বামী জয়নাল আবেদীন মন্ডল। সে মাটি কাটার কন্টেক্টরী করে আসছে। তার কাছে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী আকবর নগর এলাকার প্রভাবশালী ভূমিদস্যু সমেদ আলী ও তার পরিবার ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে আসছে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে গত ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় জয়নাল ও তার লোকজন নিয়ে রহিম হাজী ইট খোলায় টলার যোগে যায়। এসময় সমেদ আলী ও তার ছেলে রাজিব (২৬), সজীব (২২), গনিসহ ২০/২৫জন মিলে জয়নালসহ তার লোকজনকে মারপিট করে। এসময় এরাও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দেয়। একপর্যায় সমেদ আলীর লোকজন জয়নালের কপালে টেটা বিদ্ধ করে । এরপর সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে নিয়ে সে আহত গত ১০ আগষ্ট ভোর সাড়ে ৪টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা দেয়। এপর মরহুম জয়নাল আবেদীন মন্ডলের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১১ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় সমেদ আলীসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৪৯(৮)১৮। ধারা : ১৪৭/ ৩২৪/ ৩২৬/ ৩৮৫/ ৩০২/ ৩০৭/ ৫০৬/ ১১৪ দ.বি.।
অপর মামলাটি করেছে সেলিনা বেগম বাদী হয়ে। তার মামলা বিবরনীতে জানাযায়, ফতুল্লার বক্তাবলী আকবর নগর এলাকার আবুল হোসেন (৫৫)। তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪৫)। তিনি জানান, তার গ্রামের সমেদ আলী ও রহিম হাজীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্রুতার বিরোধের জের ধরে গত ৯ আগষ্ট বিকেল সাড়ে টায় তারা উভয়ইর সন্তান ও ভাই ভাতিজা নিয়ে কথা কাটিকাটি ও মারামারি হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফুলু মেম্বারের বাড়িতে ঢুকে সমেদ আলীর ছেলে রাজিব ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা মিলে মেম্বারের ছেলে নবীসহ ৭/৮ জনকে তারা টেটা বিদ্ধ করে। একপর্যায় রাত সাড়ে আটটায় আবুল হোসেনের স্ত্রী তার ছোট ছেলে শামীম কে ঘুম পড়িয়ে সে নামাজে দাড়ায়। এমন সময় সে দেখতে পায় তার বাঁশের মুলি বেড়াতে আগুন জ্বলছে। এরপর সে চিৎকার দিয়ে তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ঘরে থাকা টাকা স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় ফাতেমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং- ৪৮(৮)১৮ । ধারা: ৪৩৬ পেনাল কোড দ.বি.।
এলাকাবাসীর দাবী সমেদ আলী ও রহিম হাজীর সাথে বিরোধের নেপথ্যে রয়েছে কেরানী গঞ্জ জাজিরার আবুল কাশেম তিনিই নাটের গুরু। এই গুরুই বিরোধ সৃষ্টি করে দুই পক্ষকেই লাগিয়ে রেখে সে তার নিজের স্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করে আসছে। এমনটাই বক্তব্য আকবর নগর ও জাজিরার মানুষের। তার এলাকার জয়নাল আবেদীন মন্ডল নিহত সমেদ আলীর হমলায় হয়েছে। আকবর নগর বাসীর দাবী এই মোষ্ট ভিলেন আবুল কাশেমকেও আইনী আওতায় আনা হোক।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ