আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রার্থী বেছে নিতে আওয়ামী লীগের জরিপ

টি.আই.আরিফ :

দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। এই বিতর্কের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে নিতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। এই জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

গত শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে মনে করেন দলটির নেতারা। দলের তৃণমূলের নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। এ জন্য এখন থেকে দলকে নির্বাচনমুখী হয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দলীয় প্রধানের বার্তার বিষয়ে একাধিক এমপি বলেন, ‘আমরা যাঁরা প্রার্থী হই বা হওয়ার দৌড়ে থাকি, তাঁদের জন্য বার্তাটা হলো জনসংযোগ বা জনগণের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও বাড়ানো দরকার। যাতে যেকোনো চ্যালেঞ্জে দল নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারে, তাই আমাদের অভিভাবক এখন থেকেই মাঠে থাকতে বলেছেন।’

শনিবার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেছেন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলীয় সভাপতি তাঁদের বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সারা দেশে ইভিএমে হবে। ফলে বিকল্প উপায়ে ভোটে জিতে যাওয়ার চিন্তা কারও করার সুযোগ নেই। গত নির্বাচন নিয়ে এখনো আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তাঁকে জবাব দিতে হয় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও কঠিন হবে। যোগ্য প্রার্থী বেছে নিতে সারা দেশে জরিপ চলছে বলেও সবাইকে জানান শেখ হাসিনা।

গেল সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের ৫ টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। আর ২ টি আসন জোট সঙ্গী জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তারা সবাই বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে হ্যাট্রিক বিজয় অর্জন করে মন্ত্রিপরিষদে স্থান পায় গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি দায়িত্ব পান বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে। এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেন। গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে , পৌরসভা নির্বাচনে ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। মন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। বিরোধী দলের তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এছাড়া রূপগঞ্জে মন্ত্রী বহু উন্নয়ন কাজ করেছেন। যার সুফল রূপগঞ্জবাসী ভোগ করছে। করোনাকালে তিনি গাজী পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যার ফলে বহু মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। তিনি সাপ্তাহে ৪ দিন রূপগঞ্জে থাকেন।
এবার জাতীয় পার্টিকে সোনারগাঁ ও সদর-বন্দর আসন আওয়ামী লীগ ছাড় দেবে কিনা তা নিয়ে বিচার, বিশ্লেষণ হচ্ছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর একজন সদস্য কেন্দ্রীয় ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শনিবার রাতের বৈঠকে। এ সময় অধিকাংশ নেতা এর সমালোচনা করে বলেন, জোট শরিকদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়েছে। কৌশলগত কারণেই জোটবদ্ধ থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ, দেশের মানুষ রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখে। পরে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জোট থাকবে। সুত্রের খবর আওয়ামী লীগের জোটের পরিধি বাড়বে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ