আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার মৃত্যুতে মন্ত্রী গাজীর শোক

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হোসেন তৌফিক ইমামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ ( রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এক শোক বার্তায় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ গঠনে এইচ টি ইমামের অসামান্য অবদান বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে। তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে  বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হল ।

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ব্যক্তিগতভাবে এবং নারায়নগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রসঙ্গত, হোসেন তৌফিক ইমামের জন্ম ১৯৩৯ সালে। তিনি এইচ টি ইমাম নামেই পরিচিত হয়ে ওঠেন। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জেলায়। ম্যাট্রিক পাস করেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে। আর ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে। রাজশাহী কলেজ থেকে বিএ ডিগ্রি নিয়ে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি নেন। তখন তিনি বাম ছাত্র সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। পড়াশোনা শেষে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছিলেন এইচ টি ইমাম রাজশাহী সরকারি কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগ দিয়ে। এরপর পাকিস্তানে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তখন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করে লন্ডনের স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে।

১৯৬৩-১৯৬৪ মেয়াদে নওগাঁ মহকুমা প্রশাসক বা এসডিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনি নারায়ণগঞ্জ মহকুমার এসডিও হিসেবে বদলি হন এবং প্রায় এক বৎসর দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিপরিষদের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত সাভারের লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি যোগাযোগ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবও হন।

অবসর নেওয়ার পর আওয়ামী লীগে সক্রিয় হন এইচ টি ইমাম। দলের নির্বাচন পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন, যে কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উপদেষ্টার দায়িত্ব দেন। প্রথমে তিনি জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। ২০১৪ সালে তাকে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনা বিষয়ে এইচ টি ইমামের রচিত কয়েকটি গ্রন্থকে বেশ গুরুত্ব দেন গ্রন্থ সমালোচকরা। এইচ টি ইমাম নিজে কখনও নির্বাচনে না দাঁড়ালেও তার ছেলে তানভীর ইমাম সিরাজগঞ্জের একটি আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। এইচ টি ইমাম ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৪ মার্চ রাত ১টা ১৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ