আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রণীত হচ্ছে গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা আইন : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন’ এবং ‘সম্প্রচার আইন’ জাতীয় সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে। এ আইন দু’টি পাস হলে যখন-তখন চাকরি চলে যাওয়াসহ সাংবাদিকদের যেসব সমস্যা দেখা দেয় সেগুলোর আইনি প্রটেকশন দেওয়া সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়েরর সভা কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকে তিনি আরো বলেন, বুধবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হবে। কিন্তু এ অধিবেশনে আমরা আইন দু’টি উপস্থাপন করতে পারব না। তবে আশা করছি, এর পরের অধিবেশনে আইন দু’টি উপস্থাপন করতে পারব।

হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষায় গণমাধ্যম কর্মী আইন ও সম্প্রচার আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়। এটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেটিং দিয়ে দেবে।

তিনি বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি যাতে দ্রুত ভেটিং দিয়ে দেয়। এরপরই মন্ত্রিসভা হয়ে আইন দু’টি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবো। তবে আগামীকাল শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে না। আশা করছি এর পরের অধিবেশনে উপস্থাপন করতে পারবো। ‘গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির নিশ্চয়তার জন্য উদ্যোগ নেবেন কিনা’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন যখন হবে চাকরির নিশ্চয়তা থেকে শুরু করে সব কিছুর আইনি সুরক্ষা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে। আইনটি দ্রুত সংসদে পাস করতে পারলেই সুরক্ষা তৈরি হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন বাইরে চলে যাচ্ছে, চ্যানেলগুলোতে অর্থ সংকট। এ সংকটের কারণে সাংবাদিকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। অনেক ক্ষেত্রে বার্তা বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, এগুলো কোনোটাই হতো না যদি বিদেশে বিজ্ঞাপন চলে না যেতো। টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম ঠিক করার জন্য এ বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাশাপাশি সব সিটি করপোরেশনে সিস্টেম ডিজিটাল করে ফেলার আহ্বান জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। সাংবাদিক নেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী জানান, এশিয়া সামিট আয়োজনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সহযোগিতা করা হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর একটা সমস্যা নিউ মিডিয়া- ইউটিউব, ফেসবুক, নেটফ্লিক্স, গুগলে আমাদের দেশের অনেক বিজ্ঞাপন চলে যাচ্ছে, যেগুলো থেকে আমরা কোনো ট্যাক্স পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আমি আলোচনা করেছি, এগুলো শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য আমরা উদ্যোগ নেবো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে অবশ্যই আনতে হবে এবং আমরা আনার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, ভারতে বিশৃঙ্খলভাবে করতে পারে না। সেখানে ইউটিউব, ফেসবুককে কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রার হতে হয়েছে। চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের আপদকালীন ভাতা দেওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রীর সহায়তা চান নেতারা। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে টিওআরের মধ্যে এখন শুধুমাত্র কেউ মারা গেলে, অসুস্থ হলে সেখানে সাহায্য করা যায়, অন্য কোনো কারণে সাহায্য করা যায় না। এরইমধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা করেছি টিওআর পরিবর্তন করার জন্য। যাতে সাংবাদিকরা সাহায্য পেতে পারেন। এ সময় ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ