আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক, প্রগতিশীল ছাত্র জোটের

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের

প্রগতিশীল ছাত্র জোটেরনবকুমার:

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ইমরান হাবীব আজ বুধবার মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান যে  আগামী ২৯ জানুয়ারি সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে ধর্মঘট পালন করা হবে। প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, মার্কসবাদী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র ঐক্য ফোরাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী।

এ ছাড়া ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংহতি সমাবেশ এবং ২৮ জানুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে তারা।

চার দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। চার দফা দাবি হচ্ছে গতকাল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার, গত ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের সঙ্গে যুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মামলা প্রত্যাহার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় প্রশাসনকে বহন করা এবং অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে গতকালের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান ইমরান হাবীব। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের একটি নির্দেশনা আছে। আমরা আশঙ্কা করছি যে পরিকল্পিতভাবে ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।

গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে সিনেট ভবনের দিকের কলাপসিবল গেট দিয়ে বের হতে চান। এ সময় তাঁকে ঘিরে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই তাঁর কাছে প্রক্টরের অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবিদ আল হাসানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। তাঁরা উপাচার্যকে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। দুই পক্ষ এ সময় পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল।

একই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েক শ নেতা-কর্মী মল চত্বরে অবস্থান নেন। তাঁরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষিপ্ত হামলা শুরু করেন, আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রশাসনিক ভবনের ভেতরের বিভিন্ন কক্ষে লুকিয়ে থাকলে সেখান থেকে খুঁজে বের করে পেটানো হয়। তবে ঘটনার সময় ছাত্রলীগের কর্মীদেরও মারধর করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ