আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

গত ২১ এপ্রিল রবিবার দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকৌশলী হাউজিং সোসাইটির ৬২ লক্ষ টাকা আত্মসাত শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যা সংবাদচর্চার অনলাইনেও প্রচারিত হয়েছিলো ।

সেই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন  প্রকৌশলী মোঃ অমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন এই সংবাদের মাধ্যমে আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ও দীর্ঘ দিনের চাকুরী জীবনের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে । পরিবার পরিজন নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। প্রকৌশলী হাউজিং সোসাইটির বিভক্ত সদস্য এবং তাদের সাথে জড়িত কুচক্রি মহল নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংম্লিষ্ট সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে।

প্রকৃত ঘটনা
আমি প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অফিস কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাসায় বসবাস করে আসছি। আমার সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজায় পূর্বে ক্রয় কৃত জমি বিক্রয় করে ও সিপিএফ ফান্ডে লোন করে প্রকৌশলী হাউজিং সোসাইটির সদস্য হয়ে যৌথ ভাবে ৩১ (একত্রিশ) শেয়ার মিলে ২৪ শতাংশ জমি থেকে নিজ নামে ১.৫৪ শতাংশ জমি ক্রয় করতে সক্ষম হই। জেনারেল মিটিং করে সর্বসম্মতিক্রমে জমির দাম চুড়ান্ত করা হয় এবং সেই টাকায় সমিতির সদস্যরা নিজ দায়িত্বে জমি ক্রয় করে নিজ নিজ নামে জমি রেজিষ্ট্রি সম্পাদন করেন। দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর পর যৌথ ভাবে কাজ শুর হলে একটি দুর্নীতিবাজ কুচক্রী মহল অসৎ উদ্দেশ্যে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা শুরু করে। সমিতির আয় ব্য য় হিসাব করার জন্য যৌথ ভাবে সর্বসম্মতিক্রমে সিএ অডিট ফার্ম  খালেদ চৌধুরী কে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবং একাউন্স এন্ড অডিট সম্পন্ন করেন। জনাব মো: সাখাওয়াত হোসেন ও প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন, মো: জহুরুল ইসলাম সাইদ গং ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল এর জন্য ভ’য়া কাগজ তৈরী করে অডিট রিপোর্টটি নিজের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সকল অডিট নিস্পতি ও কাজ চালু করার সিদ্ধান্ত থাকলে ও আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রায় ৩ বছরের ৫টি জেনারেল মিটিং মাইনরস সাধারন সম্পাদককে বাদ দিয়ে মিথ্যা মনগড়া সিদ্ধান্ত লিখে প্রকৌশলী জনাব মো:ইসমাইল হোসেন ও মো: জহুরুল ইসলাম সাইদ বেক ডেট এ সাইন করে জনাব মো: সাখাওয়াত হোসেন মিটিং মাইনরস অডিট রিপ্লাই নামে মেইল করেন ও পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন। যাহা বহি:অডিট এ ভুয়া প্রমানিত হয় । সমিতির একাধিক মিটিং এ কাজ চালুর সিদ্ধান্ত থাকলে ও জনাব মো: ইসমাইল হোসেন ও সাখাওয়াত হোসেন গং ধার্যকৃত নির্মান টাকা বকেয়া রেখে মিথ্যা প্রপাগান্ডা করে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়।

কৌশলে সমিতির লকার থেকে মূল্যবান ডকুমেন্ট ও ব্যাংক চেক বই নিয়ে কাজ বন্ধ করে প্রায় অর্ধকোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন। উক্ত সমস্যা নিরসনের জন্য গত ২৭/০১/১৮ তারিখ জেনারেল মিটিং এ সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যরা প্রকৌশলী জনাব মো: ইসমাইল হোসেনকে সভাপতি পদ থেকে অনাস্থা জ্ঞাপন করেন । এবং ডা: মো: জহিরুল ইসলাম মুমিন সাহেবকে সভাপতি নির্বাচন করে নতুন কমিটি গঠন করেন। পূর্বে যৌথ নিয়োগকৃত সিএ ফার্ম এর একাউন্স ও অডিট রিপোর্টটি একাধিক জেনারেল মিটিং এ অনুমোদন হয়। উক্ত একাউন্স এন্ড অডিট না মেনে সিএফার্ম এর বিরুদ্ধে প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন , মো: সাখাওয়াত হোসেন গং ২(দুই) বার আইসিএবি (ওঈঅই) তে অভিযোগ করেন এবং অভিযোগ গুলি খারিজ হয়ে যায় ও একাউন্স এন্ড অডিট রিপোর্টি সঠিক বলে বহার রাখেন। প্রকৌশলী হাউজিং সোসাইটিতে বহি:অডিট রিপোর্টটিতে আমার নামে কোন প্রকার অর্থ আত্নসাত এর অভিযোগ নেই ।

দীর্ঘ দিন নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় সমিতির ৩১জন শেয়ার হোল্ডার এর ২০ জন সদস্য শেয়ার হোল্ডারএকাউন্স এন্ড অডিট মেনে তাদের প্রাপ্য জমির অংশ বুঝে নিতে আবেদন করেন। আবেদন অনুযায়ী ০১/১২/১৮ তারিখ মিটিং করে জমি ভাগ করে যার যার প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ডা: জহিরুল ইসলাম মুমিন, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক এর সাথে ২০ টি শেয়ার ও প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন সাবেক সভাপতি,সাখাওয়াত হোসেন সাথে ১১টি শেয়ার হোল্ডার ২টি ভাগে ভাগ হয় ও সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়। সীমানা থেকে প্রায় ৩ ফুট দূরে প্রাপ্য জায়গায় আমি প্রকৌশলী মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সহ টিনসেড নির্মান করি এবং প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন সাবেক সভাপতি ,সাখাওয়াত হোসেন গং কর্তৃক প্রাপ্য জায়গা ফাঁকা অবস্থায় রয়েছে ।  আমরা তাদের জায়গা দখলের কোন প্রকার চেষ্টা করি নি অথচ অসত্য তথ্য দিয়ে কোর্টে জমি দখলের মামলা দায়ের করেন।

আমি সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি পিতার সম্পত্তি দেখাশুনা করি আমার নামে টিআই এন নাম্বার রয়েছে ও প্রতি বছর নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করি আমার সম্পতির হিসাব সংরক্ষিত রয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ