আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে কায়েতপাড়ায় বিক্ষোভ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট : রূপগঞ্জের চনপাড়া রাসেলনগর ও কায়েতপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা এবং পুলিশের হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার ( ১২মার্চ) বিকালে বিক্ষোভ মিছিলটি চনপাড়া থেকে পূর্বগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে যায় । সেখানে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা।কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী বলেন, আমরা আজকে ক্ষমতায় থেকেও মনে হচ্ছে বিরোধী দলে অবস্থান করছি। আর তা না হলে কোনো আমরা আজকে প্রতিবাদ সভা করব। আজকে আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। কায়েতপাড়াতে একজন ভূমিদস্যুর অত্যাচারে নিগৃহ হয়ে যাচ্ছি আমরা। তার কাজ কর্মে তার ভূমিদস্যুতায় আমাদের সকল নেতাকর্মীদের নামে মামলা হচ্ছে। হামলার শিকার হচ্ছে। ঘরে শান্তি মতো তারা ঘুমাতে পারছে না। বৃহস্পতিবার রাত ৩ টায় রূপগঞ্জ পুলিশ বাহিনী তান্ডব চালিয়েছে। পুলিশ মাস্তান বাহিনী নিয়ে রামদা ,অস্ত্র এবং চাপাতি সহ গ্রামবাসীর উপর আক্রমণ করেছে। বড়ালু গ্রামে ১০টি বাড়ির উপর আক্রমণ করে। দরজা জানালা ভেঙ্গে আমাদের নেতাকর্মীর যাদের নামে কোনো মামলা নেই তাদের কে ধরে নিয়ে থানায় আটক রেখেছে। এটা অত্যান্ত নেক্কার জনক। পুলিশ কার মিশন নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় অবস্থান করছে। পুলিশ আওয়ামীলীগের লোক হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা নির্যাতন হয়রানি করতো না। কারণ যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই তাদের কে পুলিশ কেনো হয়রানি করেন। তাহলে পুলিশের একটা উদ্দেশ্য আছে। পুলিশ আমাদের আওয়ামী লীগের কিছু না। একজন পুলিশ অফিসার বিএনপির মিশন নিয়ে রূপগঞ্জ থানায় অবস্থান করছে। তদন্ত ওসি ঘুষখোর। ওই পুলিশ অফিসার টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অনুরোধ অবিলম্বে ওই পুলিশ অফিসারকে রূপগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। আর তা না হলে শেখ রাসেলনগর এবং কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মিলে দুর্বার আন্দোলন করে তাকে প্রতিহত করবো। তার অপকর্মের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চা হবো কায়েতপাড়াবাসী। এসপি সাহেবের কাছে আমাদের অনুরোধ যে পুলিশ অফিসার হয়রানি করছে রূপগঞ্জ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। ঐ পুলিশ অফিসার একজন ব্যক্তির মিশন নিয়ে নেমেছে। টাকার বিনিময়ে উনি গতকাল এই নেক্কারজনক কাজ করেছে। এ ঘটনা শুনে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় খুব ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। উনি আমাদের বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচার করলে আগামী দিন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী মাঠে থাকবে না। আমরা তাদেরকে ডাকলেও পাবো না। তাই এসপি মহোদয়ের কাছে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নেন।
তিনি বলেন , আমাদের আন্দোলন চলবে। প্রতিবাদ মিছিল চলবে প্রতিদিন। পুলিশ এবং ভূমিদস্যুদের জলুম অত্যাচার যতদিন পর্যন্ত শেষ না হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, কামরুজ্জামান হিরার গাড়িতে গুলি বর্ষণ করেছে যারা , তারা বাঁচার জন্য নিজের অফিস তারা নিজেরাই ভাংচুর করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়াচ্ছে আন্ডা রফিক। আমরা সেই মামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার রাত ৩ টায় ভূমিদস্যু আন্ডা রফিক পুলিশকে দিয়ে চনপাড়া এবং কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঘরে তল্লাশি চালিয়েছে। মহিলাদের নির্যাতন করেছে। আমি রূপগঞ্জ থানার ওসি কে বলতে চাই কায়েতপাড়া এবং চনপাড়ায় রাতের আধারে আমাদের দলীয় নেতাকর্মী এবং মা-বোনদের উপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে পুলিশ তার বিচার চাই। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রাশসনের কাছেও আমরা বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা এ ধরণের অত্যাচার থেকে বিরত থাকুন। আর তা না হলে কায়েতপাড়া এবং চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং গাজীর সৈনিকরা যদি রাস্তায় নামে দুর্বার আন্দোলন হবে। সেই আন্দোলনে আপনেরা ওই কায়েতপাড়ার ভূমিদস্যুকে রক্ষা করতে পারবেন না। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, রফিক চেয়ারম্যান হয়ে গত ৫ বছরে সরকারি অফিসে ১০ দিনের বেশি আসে নাই। উনির কাছে থেকে জনগণ নাগরিক সুবিধা পায় নাই। আপনি কায়েতপাড়াবাসীকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করেছেন। নাওড়ায় তার আলিশান অফিস রয়েছে। সেই অফিসে আপনি শুক্রবার আসেন। নাচ-গান কইরা চলে যান। আপনার ভাই আওয়ামী লীগের পদ ধারী কোনো নেতা না। আপনি সন্ত্রাসী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এছাড়া বিক্ষোভে রফিক শালা লুচ্চা গলে গেছে পইচা এই শ্লোগানে মুখোরিত করে তোলে বিক্ষোভকারীরা

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ