আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পুনরায় রিমান্ডে পিন্টুর সহযোগী বাপন

পুনরায় রিমান্ডে

পুনরায় রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের  স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যার ঘটনায় পিন্টুর সহযোগী বাপন ভৌমিককে ফের ২ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রবিবার (১৫ জুলাই) দুপুর দুইটায় সিনিয়র জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্র্যাট আফতাবুজ্জামানের আদালতে বাপনকে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তার আগে গত ১০ জুলাই একই মামলায় পিন্টু ও বাপনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যাকান্ডে অধিকতর তদন্তের স্বার্থেই বাপনকে ২য় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

শনিবার প্রবীর হত্যার প্রধান আসামী পিন্টু দেবনাথের হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দীর ১ দিন পরই রবিবার বাপনকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়া হলো। তার আগে প্রবীর হত্যায় বাপনের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, প্রবীর হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার পিন্টুর সহযোগী বাপন ভৌমিক প্রবীরের লাশ উদ্ধারের আগে পর্যন্ত প্রবীরের খুন হওয়ার বিষয়টি জানতোই না।

প্রথম পর্বের রিমান্ডে বাপন পুলিশকে জানায়, ১৮ তারিখ নিখোঁজ হবার পর ১৯ তারিখ সকালে প্রবীরের নিখোঁজ হওয়ার বিষয় জানাতে পিন্টুকে ফোন করে বাপন। সকাল সাড়ে ১১ টায় বাপন টেলিফোনে পিন্টুকে বিষয়টি জানালে পিন্টু বলে আগে থেকেই বিষয়টি জানে সে। সেদিন বাপন ঢাকার বসুন্ধরায় চলে যায় তার কাজে। দুপুর সাড়ে তিনটায় বাপনকে ফোন করে পিন্টু বলে, আমার শরীরটা খারাপ, তুই রাতে আমার সঙ্গে থাকিস। রাতে ফিরে এসে পিন্টুর ফ্ল্যাটে যায় বাপন। সেখানে গিয়ে বাপন দেখে পিন্টুর ঘরে নতুন চাদর, বালিশ। রাতেই এক সময় কান্না জড়িত কণ্ঠে পিন্টু বাপনকে বলে, আমি বিপদে পড়েছি ভাই, আমাকে বাঁচা।

বিপদের কারন জানতে চাইলে পিন্টু তাকে জানায়, প্রবীর ভারতে পালিয়ে গেছে। কিন্তু ফোন রেখে গেছে তার কাছে। এখন এটা নিয়ে থানা পুলিশ হচ্ছে। মোবাইল তার কাছে থাকাটা ঝুকিপূর্ণ। সুতরাং এই মোবইলটিকে নষ্ট করে ফেলতে হবে।

কিভাবে সাহায্য করবে জানতে চায় বাপন। পিন্টু বলে, ভারত সীমান্ত থেকে প্রবীরের ফোন ব্যবহার করে একটি ম্যাসেজ পাঠাতে হবে প্রবীরের ভাইয়ের নাম্বারে। তারপর ফোনটি নদীতে ফেলে দিতে হবে।

২১ জুন প্রবীরের ফোন ব্যবহার করে কুমিল্লার শিবের বাজার এলাকা থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠায় বাপন। তবে কথা মতো মোবাইল না ফেলে সিম ফেলে দেয় সে। আর প্রবীরের মোবাইল ফোনটি রেখে দেয় নিজের কাছে। এরপর নারায়ণগঞ্জে ফিরে এসে পিন্টুর ফ্ল্যাটেই থাকতে শুরু করে বাপন। আর প্রবীরের মোবাইল ফোনটি রাখে তার দোকানের ড্রয়ারে। ৭ জুলাই বাপন ফোনটিতে নিজের সিমকার্ড ব্যবহার করলে সেটি জানতে পারে পুলিশ। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হয় বাপন। বাপনের দেয়া তথ্য মতে ৯ জুলাই পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৯ জুলাই রাতে পিন্টুর তথ্য মতে প্রবীরের খন্ডিত লাশ তার বাসার সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হলে বাপন পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারে যে প্রবীর খুন হয়েছে আর হত্যাকারী খোদ বন্ধুরুপী নরঘাতক পিন্টু দেবনাথ

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ