আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে জেলেদের বরাদ্দকৃত চাউল বিক্রির অভিযোগ, জনপ্রতি ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায়

পিরোজপুরে জেলেদের

পিরোজপুরে জেলেদের

পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরে সরকারী বরাদ্দকৃত সাধারণ জেলেদের চাউল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর প্রতি জেলের কাছ থেকে চাল বিতরণের সময় ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার ৬নং শারিকতলা ডুমরিতলা ইউপিতে জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে সরকারী বরাদ্দকৃত চাউল। মাথাপিছু ৪০ কেজি হারে ৮০ কেজি চাউল জেলে প্রতি বরাদ্দ হয়েছে। আর এই চাল বিতরণের দায়িত্বে রয়েছেন পিরোজপুর জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আঃ জলিল হাওলাদার ।

জানাযায়, ২৬ ও ২৭ মে জেলা মৎস্য অফিস ও ইউপি চেয়ারম্যান কে কোন রকম অবহিত না করেই ইউনিয়ন পরিষদে এই চাউল বিতরণ করেছেন আঃ জলিল। এই ইউনিয়নে তালিকাভূক্ত প্রায় ৪৮০ জন জেলে রয়েছে, তাদের মধ্যে ২৬৬ জন জেলের নামে বরাদ্ধ হয় ৪০ কেজি করে চাউল। আর এই চাউল জেলেদের ৪০ কেজি করে দেওয়া হয়না। কম কম চাউল বিতরণ করে অন্যত্র বস্তা প্রতি ১৬শ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। এমনকি ৫০ কেজি চালের একটি বস্তাকে ৫১ কেজি ধরে জেলেদের নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ শোনা যায় বহুদিন ধরে। চাউল বিতরণ কেন্দ্রে গিয়ে জনগনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। দেখাযায় চাউল নেওয়ার সময় প্রত্যেক জেলেকে ৩০ টাকা করে দিতে হচ্ছে আঃ জলিলকে। যাহা আমাদের প্রতিনিধির ক্যামেরায় বন্ধি হয়ে পড়ে।

প্রমান পাওয়াগেছে, ২৬ মে আঃ জলিল ৩২শ টাকার বিনিময় দুই বস্তা (১০০ কেজি) চাউল বিক্রি করেন অন্যত্র। তবে চাউল বিক্রয়ের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও ইউপির সচিব এর মুখোমুখী বসে পরে স্বীকার করেন আঃ জলিল।

ধারনা করা হয়, অত্র পরিষদের গ্রামপুলিশ ভব রঞ্জন এর সহযোগীতায় বিগত দিনেও বহুবার গোপনে এধরনের চাউল চুরী করে অন্যত্র বিক্রয় করা হয়েছে, যাহা প্রশাসন ও জনগনের দৃষ্টির আড়ালে রয়েছে। তবে বিষয়টি পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন ও অপরাধির কঠিন শাস্তির দাবি করছেন অসহায় গরীব জেলেগন।

এবিষয় কথা বলার জন্য ইউপি চেয়াম্যানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেনি। তবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ