আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পার্সেলে মদ বিক্রি

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

মদের বার বন্ধ করে দেয়া হলেও শহরের চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকার প্যারাডাইজ ক্যাসেল নামক বহুতল ভবনের ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টে ভিন্ন কায়দায় মদ বিক্রি করা হচ্ছে। রেস্টুরেন্টে বসে কেউ অর্ডার করলে তিনি মদ পাবেন। তবে সেখানে বসে পান না করে বাইরে গিয়ে করতে হবে। পার্সেল এ মদের অর্ডার ক্রেতার কাছে পৌছে দিচ্ছে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ।

 জানা গেছে, ১১ তলায় নির্মান করা ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্ট লকডাউন ধাক্কা সামলিয়ে কিছু দিন আগে চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে ব্লু  পিয়ার রেস্টুরেন্টে খাবার বিক্রির পাশাপাশি পার্সেলে মদ বিক্রি করছে বার কর্তৃপক্ষ। তারা অনেক কৌশলী হয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র বলছে, ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য কম লোক যায়। তবে যারা যায় তাদের অনেকেই মদ পান করে। তারা মূলত মদ  পেতেই এখানে যায়। তাদের ইশারা দেখেই রেস্টুরেন্টের বয় কিংবা অন্য কর্মচারীরা বুঝতে পারে তারা কী চাইছেন। সূত্র জানায়, এখানে পার্সেলে মদ বিক্রি করা হয়। সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানায়, নাগরিক নেতা, সাংবাদিক নেতা, ধর্মীয় নেতা সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে  মদের বারটি বন্ধ করে দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বার বন্ধ হওয়ায় এখানে বসে মদ পান করার কোন সুযোগ নেই বলে জানায় সূত্রটি। তবে অর্ডার করলে  পার্সেলে মদ দেয়া হয় বলে জানায় ওই সূত্রটি।

যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লু পিয়ার মদের বারের জি এম জুয়েল জানান, ব্লু  পিয়ার রেস্টুরেন্টে আলাদা একটি প্রতিষ্ঠান। মদের বারের সাথে এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। রেস্টুরেন্টে পার্সেলে মদ বিক্রি করা না। ব্লু  পিয়ার কর্তৃপক্ষ কোটি টাকা খরচ করে এই ছোট বদনাম নিবে না।

সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের প্রারাডাইস ক্যাবলসের মালিক মোবারক, মোশারফ, মজিবর ও মনির। তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা ভাড়ায় এবং ৪০ লাখ টাকা অগ্রিমে ১০ বছরের চুক্তিতে তিনটি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছিলো রাশেদ খান। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন থেকে ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টের জন্য ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ছিলেন। মদের বার উদ্ধোধনের সময় বারের সংশ্লিষ্ট গাজী মুক্তার দাবি করে ছিলেন এই বারের লাইসেন্সও আছে। তবে উদ্ধোধনের কিছুদিন পরই  বার বন্ধ করে দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ব্লু পিয়ার নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার পর মদের বার বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির একটি মাসিক সভায় চাষাড়ায় মদের বার প্রসঙ্গে প্রথম বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম। এরপরই এ বিষয়টি আলোচনায় আসে। পরে নাগরিক কমিটিও বার বন্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। হেফাজতে ইসলাম নারায়ণগঞ্জের নেতারা বার বন্ধের হুশিয়ারী দেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ নেতৃবৃন্দ বার বন্ধের দাবি জানিয়ে শহরে মানববন্ধন করেছিলো। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এসে বারের ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। দৈনিক খবরের পাতা, দৈনিক সংবাদচর্চা, দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ সহ নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি গণমাধ্যম চাষাঢ়ায়  মদের বার বন্ধের জন্য ভ‚মিকা রেখেছিলো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ