আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পারমাণবিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে জার্মানি

যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও জাপানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণের পর জার্মানি ঘোষণা দিয়েছিল আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই দেশটিতে চালু থাকা সাতটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবে। আর সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে জার্মানি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করার কাজ শুরু করলেও বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো ধ্বংসের পর যে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় (রেডিওঅ্যাক্টিভ) বর্জ্য সৃষ্টি হবে তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশটি।

বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো ধ্বংসের পর প্রায় ২৮ হাজার কিউবিক মিটার প্রাণনাশক উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সৃষ্টি হবে। যা উপযুক্ত কোনো ভাগাড়ে পুতে ফেলতে হবে। আর এজন্য ভাগাড়ের খোঁজ করে এসব রাসায়নিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্য জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখের পরিবেশ ও জলবায়ু নীতির চেয়ারপারসন মিরান্ডা শ্রয়াস জানিয়েছেন, জার্মানি দেশটিতে সচল সবগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে উপযুক্ত ভাগাড় খুঁজে পাওয়া দেশটির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিরান্ডা বলেন, ‘উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য মাটি চাপা দেওয়ার জন্য সেই জায়গাটি ভূতাত্ত্বিকভাবে হতে হবে খুব খুব স্থিতিশীল। যেখানে ভূমিকম্পের ও পানির রেশ মাত্র থাকবে না।’

বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটি উচ্চমাত্রার রেডিওঅ্যাক্টিভ বর্জ্যবাহী প্রায় দুই হাজার কন্টেইনার স্থায়ীভাবে পুঁতে রাখার জন্য একটা জায়গা খুঁজছে। তবে সমস্যা হলো সে জায়গাটি হতে হবে পাথরবেষ্টিত। আর সেখানে কখনোই ভূগর্ভস্থ পানি কিংবা ভূমিকম্প অথবা ভূমিধস কোনো ফুটো তৈরি করতে না পারে।

উচ্চমাত্রার এসব তেজস্ক্রিয় বর্জ্য স্থায়ীভাবে পুঁতে রাখার জন্য উপযুক্ত স্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে জার্মানির অর্থনীতি ও জ্বালানিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে তারা এমন কোনো স্থান খুঁজে বের করতে বদ্ধ পরিকর, যেখানে এসব উচ্চমাত্রার বর্জ্য নিরাপদে পুঁতে রাখা সম্ভব হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ