আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পশ্চিম তল্লায় যুবলীগ নেতার ভাগ্নে পরিচয়ে লক্ষাধিক টাকার মাদক লুট

বিশেষ প্রতিবেদক
যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের ভাগ্নে পরিচয়ে লক্ষাধিক টাকার মাদক লুট করেছে তনয় (২৪), টিপু (২৩), ও নিলয় সহ অজ্ঞাত ৮-১০ জন যুবক। প্রশাসনের কোনরকম উপস্থিতি ছাড়া কথিত মাদক বিরোধি অভিযানের নামে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার ৪ তলার সামনে থেকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় পল্লব ও সোহাগ নামে দুই মাদক বিক্রেতাকে মারধর করে ৪০০ পিস ইয়াবা (যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষাধিক টাকা) ও নগদ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এদিকে অপরাধ দেখলে প্রতিবাদ করার অধিকার মানুষের আছে, তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া কেউ এরকম অভিযান পরিচালনা করতে পারে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মাদক ও টাকা লুটকারীরা জানে আলম বিপ্লবের ভাগ্নে কিনা জানতে তাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মানুষ জানিয়েছে, তনয় ও টিপু বৃহত্তর তল্লার সব জায়গাতেই যুবলীগ নেতা বিপ্লবের ভাগ্নে পরিচয়ে আধিপত্য বিস্তার করে। যাকে তাকে মারধর, অযথা ঝামেলা পাকিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ফায়দা নেয়াই তাদের দৈনন্দিন কাজ। তারা আরও জানায়, যারা নিজেরাই মাদকের সাথে সম্পৃক্ত তারাই মাদক বিরোধি অভিযান চালায়! দীর্ঘদিন ধরেই তারা এসকল কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এমনিতেই পশ্চিম তল্লায় মাদক বিক্রেতাদের আনাগোনা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও হরহামেশাই এলাকাজুড়ে প্রশাসনের আনাগোনা থাকে। তারপরেও তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক বিক্রেতারা তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে যুব সমাজ। তার উপর কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রায় অতিষ্ট তল্লাবাসী। মাদক নিয়ে কিছুদিন পরপরই মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী কিশোর গ্যাংদের সাথে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। শীঘ্রই এসকল সমস্যার সমাধান চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভুক্তভুগীরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, চোখের সামনে যেকোন অপরাধের প্রতিবাদ করার অধিকার মানুষের আছে। তাই বলে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে কারও প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া সাধারণ মানুষ মাদক বিরোধি অভিযান পরিচালনা করতে পারে না। কে বা কারা মাদক বিরোধি অভিযান পরিচালনা করলো, মাদক বিক্রেতাদের উৎখাত করলো কিন্তু মাদকগুলো তাদের কাছেই রেখে দিলো। এমনটা কখনোই হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমাদের জিরো টলারেন্স। মাদক বিক্রেতা ও তাদের উপর অভিযানের নামে মাদক ও টাকা লুটকারীদের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। সেই সাথে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন ওসি আসলাম।


স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ