আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পতন শুরু

পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনের উপনির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রার্থীরা।

পশ্চিমবঙ্গের কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর ও করিমপুর আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা ব্যাপক ব্যবধানে বিজেপির প্রার্থীদের হারিয়েছেন বলে প্রাথমিক ফলে জানা যাচ্ছে।

উপনির্বাচনে অভাবনীয় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোপ দাগলেন বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য ও অহংকার’র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ফল প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘ঔদ্ধত্য এবং অহংকারই’ বিজেপির পতনের মূল কারণ। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার (এনআরসি) বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি।

মাত্র ছয় মাস আগে লোকসভা নির্বাচনে খড়গপুর-কালিয়াগঞ্জ আসনে পিছিয়ে থেকেও দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটের এই জয়কে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন মমতা। তিনি এই জয়কে রাজ্যের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন। পাশাপাশি তার নতুন স্লোগান, ‘তিনে-তিন, বিজেপিকে বিদায় দিন।’

তিন কেন্দ্রেই এনআরসি যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, সে কথা বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির ঔদ্ধত্য, অহংকারকে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। যখন তখন যে কোনও রাজ্যে যা খুশি করছে। বিজেপি কখনও এনআরসি, কখনও অন্য কিছু নিয়ে যা খুশি প্রচার করছে। এই মানুষরাই দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিয়েছেন, এমপি-এমএলএ বানিয়েছেন, সমস্ত কাজ করেছেন। আর এখন ওরা (বিজেপি) বলছে, নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতির খারাপ হাল। মানুষ কাজ পাচ্ছেন না, উল্টো কাজ হারাচ্ছেন। যুব সমাজের কাছে কোনও দিশা নেই।’

তৃণমূলের এই নেত্রী বলেন, ‘৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত ২১ বছর ধরে আমরা কোনও দিন কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর আসন জিততে পারিনি। এবার মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। এটা মানুষের জয়। তাই মানুষকেই এই জয় উৎসর্গ করছি আমরা। মানুষের রায়ই বড় রায়, তার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।’

সূত্র: আনন্দবাজার

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ