আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পদ্মা সেতুর মালামাল পাচার

পদ্মাসেতুর মালামাল পাচারকালে তিন জনকে আটক করেছে র‌্যাব-১১।  মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মাওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিপুল পরিমাণ লোহার রড, পদ্মা সেতুর স্প্যান বার, প্লেট পাইপ, এ্যাঙ্গেল, ইউ চ্যানেল, সেপ এবং লোহার অন্যান্য ক্ষুদ্রাংশ পাচার কালে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।  বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১১ এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল- গোপালগঞ্জের কোটালি পাড়া থানার বেতকাছিয়া গ্রামের অমৃত লাল সাহার ও পদ্মা সেতুর পাইলিং কাজে সংশ্লিষ্ট এডওয়ার্ড সাহা (৪২), ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাসানচর মেসেরডাঙ্গি গ্রামের মৃত শেখ সারোয়ারের ছেলে ও ভাঙ্গারির দোকানের কর্মচারী শেখ হারুন (৩৮) এবং শ্রীনগর উপজেলার বাবুর দিঘির পাড় গ্রামের অহিদুজ্জামানের ছেলে ও ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে শুভ (২৮)।

মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে লৌহজং থানাধীন মাওয়া ঘাট ও কুমারভোগ এলাকার বিভিন্ন স্থান এবং ভাংগারীর দোকানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। মনিব আয়রন স্টোর ও আরিফের ভাংগারির দোকান থেকে এসব চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১১’র কমান্ডার পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, চোর চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মাসেতু প্রকল্পের নির্মাণ কাজকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে চুরি করছিল। পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষের ৬জন কর্মচারী এর সাথে জড়িত। পদ্মাসেতু প্রকল্পের ব্যবহৃত লোহার রোড, পদ্মাসেতুর স্প্যান বার, প্লেট, পাইপ, ইউ চ্যানেল, এঙ্গেল, সেপ ও লোহার অন্যান্য ক্ষুদ্রাংশ চুরি করে ভাঙ্গারির ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজসে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে আসছিল। ছোট ছোট টুকরো করে গুদামে সংরক্ষণ, রাতের আধারে ট্রাকে ভর্তি করে মালামাল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন ও কুমারভোগ এলাকার বিভিন্ন ভাঙ্গারির দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ টন বিভিন্ন প্রকার লোহার মালামালসহ ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ