আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ন্যায় আর রাজত্বে দ্বিমত

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জের প্রসঙ্গ উঠলেই একেএম শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম সামনে আসে। সামনে আসে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের বিষয়টি। দুইজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক হয়েও তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণ নিয়ে বিভিন্ন সময় চলে জোর আলোচনা। এদিকে ফেসবুকের এক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে এ বিষয়ে কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, শামীম ওসমানের সাথে দ্বন্দ্ব নয় দ্বিমত রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রবাসীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বাসভূমি নামে একটি ফেসবুক পেজের লাইভ আয়োজনে সংযুক্ত হন মেয়র আইভী। এ সময় সঞ্চালক সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ সামনে আনেন। এ প্রসঙ্গে মেয়র আইভী বলেন, ‘এইটাকে দ্বন্দ্ব বলা যাবে না। এইটা তো হতেই পারে। একটা ঘরে ৫ ভাইবোন থাকলে সেখানে দ্বিমত হতে পারে। ব্যবসায়ী দুই ভাইয়ের মধ্যে, বোনের মধ্যেও দ্বিমত থাকবে। আমরা যেহেতু রাজনীতি করি সুতরাং নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা তো থাকবেই। তবে সে প্রতিযোগিতা ন্যায়ের পক্ষে সাধারণ মানুষের জন্য করছি নাকি নারায়ণগঞ্জকে নিজের রাজত্ব মনে করে নিজের পকেটে নেওয়ার জন্য করছি; সেটা ভাবার বিষয়।

শামীম ওসমানকে ‘বড় ভাই’ সম্বোধন করে তিনি আরও বলেন, আমার সাথে শামীম ভাইয়ের নামও চলে আসে কারণ তার সাথে ২০১১ সালে সিটি নির্বাচন করেছিলাম। আমরা কিন্তু একই দল এবং একই আদর্শের অনুসারী। ওনার আর আমার কথা না, বাংলাদেশের বড় বড় দলগুলোর মধ্যে সম্পর্কের কিছু টানাপোড়েন থাকেই। ব্যক্তিগতভাবে কারোর সমস্যা হলে কেউ কিন্তু বসে থাকতে পারবো না। কিন্তু অন্যায় করলে আমি প্রতিবাদ করবোই। সেটা আমার দলের কেউ হোক কিংবা আমার ছেলেরই হোক।

মেয়র আইভী বলেন, ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়েও আমি সত্য বলবো। নারায়ণগঞ্জের প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিবাদ করতেই হবে। সেটা আমার বড় ভাই শামীম ওসমানও হতে পারে কিংবা ভিন্ন দলের কেউও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসের রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখান করা শুরু করেছে। এটা আর মানুষ পছন্দ করে না। যার ফলে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসী এসব কর্মকান্ড কমেছে। আমার বাবার শিক্ষা থেকে আমি রাজনীতি শুরু করেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছোটবেলায় থেকে প্রতিবাদ করতে শিখেছি, সন্ত্রাসকে ঘৃণা করেছি। প্রথম যখন পৌরসভার মেয়র হলাম তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। পরে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মানুষ শান্তির পক্ষে রায় দিয়েছে। প্রতিবাদী মানুষ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জনসেবার উদ্দেশ্যে কাজ করি। কিছু পাবার উদ্দেশ্যে নয়, দেবার লক্ষ্যে। জনসেবা করেই আমি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে চাই। আমার চেয়ারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো কাজ আমি করিনি। ভবিষ্যতেও করবো না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ