আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিয়ন্ত্রনের বাহিরে নাঃগঞ্জের পরিবহণ সেক্টর

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

ক্রমশেই নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যাচেছ নারায়ণগঞ্জের পরিবহণ সেক্টর। নানা অনিয়ম, চাঁদাবাজীতে সয়লাভ করছে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পরিবহন সেক্টর। ক্ষমতাশীন ও বিরোধীদের সমন্নয়ে পরিচালিত হচ্ছে এই সেক্টর। বিভিন্ন অনুসন্ধানে বিরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বর্তমানে যে সকল সেক্টরগুলোতে ব্যাপক বাণিজ্য ও দূর্নিতি প্রতিয়মান হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম সিএনজি ও অটো স্ট্যান্ডগুলো।

নারায়ণগঞ্জ মন্ডলপাড়াস্থ সিএনজি ও জিমখানা অবৈধ ইজি বাইকের স্ট্যান্ড থেকে কতিপয় ব্যক্তিরা দৈনিক ৬০ হাজার যা মাসিক হিসেবে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা যার বাৎসরিক পরিমান দাড়ায় ২ কোটি টাকার অধিক।

জিমখানা থেকে কাশীপুর দেওয়ানবাড়ী, খিলমার্কেট, ফকিরবাড়ী, হাটখোলা, দিঘিরচর, মুক্তাপুর সহ মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে ২৫০টির অধিক অবৈধ ইজিবাইক চলাচল করে। প্রতিটি ইজি বাইক থেকে দৈনিক ১৪০ টাকা করে ২টি সেন্ডিকেট চাঁদা আদায় করা হয়। একটি পরিচালিত হয় সিএনজি স্ট্যান্ডের রুবেলের ছোট ভাই রানা অপরটি জিমখানা এলাকার শাকিল ও খোরশেদ।

নারায়ণগঞ্জ শহরের মন্ডল পাড়া সিএনজি স্ট্যান্ডে ২২০ টি সিএনজি প্রতিদিন মুন্সিগঞ্জ রোডে চলাচল করে এ সকল সিএনজি থেকে প্রতিদিন একশত টাকা করে চাদাঁ দিতে হয় সিটি কর্পোরেশনের লিজকৃত একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল মজিদকে আর প্রতিদিনের চাঁদার অক্তোলন করে শহরের ১নং বাবুরাইল এলাকার রুবেল। অপর দিকে অবৈধ ইজি বাইকের অবৈধ অটো স্ট্যান্ডের মাধ্যমে রুবেলের ছোট ভাই রানা মন্ডলপাড়া থেকে কাশীপুর দেওয়ানবাড়ী ও খিলমার্কেট সড়কে চলাচলকারী ইজি বাইক থেকে প্রতিদিন বাবুরাইল এলাকায় অস্থায়ী ছাতা বসিয়ে ১৪০ টাকা চাঁদা আদায় করে। এছাড়া জিমখানা থেকে মুন্সিগঞ্জের হাটখোলা ফকির বাড়ী কাটপট্টি, মুক্তারপুর সড়কে চলাচলকারী অবৈধ ইজি বাইক থেকে ১৪০ টাকা করে উত্তোলন করে নতুন জিমখানা এলাকার শাকিল ও খোরশেদ।

গতকাল সন্ধ্যায় সরেজমিনে সিএনজি স্ট্যান্ড ঘুড়ে কথা হয় লাইনমেন দিদারের সাথে তিনি বলেন, এক বছরের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে টেন্ডার নিয়েছে বিএনপি নেতা মজিদ ও সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজা বিভার স্বামী হাসান আহমেদ। আর পরিচালনা করে ১নং বাবুরাইলের রুবেল। তিনি আরো বলেন, উক্ত রোড দিয়ে মন্ডলপাড়া থেকে প্রতিদিন ২২০টি সিএনজি মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে।

মন্ডলপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ডের পরিচালক রবেল জানায়, মজিদ সাহেব টেন্ডার নিয়েছে এই লাইনের। আমাদের এই লাইনে ১৪২টি গাড়ি চলে বর্তমান। প্রতিটি সিএনজি হতে জমা খরচ বাবদ ১০০ টাকা করে চাঁদা (বিট) আদায় করি। আর অটো স্ট্যান্ডের পারমিশন নাই কিন্তু টেন্ডার বেশি হওয়ায় আমরা পরিচালনা করি।

রুবেলের ছোট ভাই ইজিবাইকের অবৈধ অটো স্ট্যান্ডের চাঁদা বাজ রানার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।

মুন্সিগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টের চাঁদা উত্তোলনকারী শাকিলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে কিছুটা হুমকি দিয়ে বলেন, আপনি সংবাদ করছেন করেন। আপনি যাদের বিরুদ্ধে সংবাদ করছেন তারা যদি আপনার অপরাধ খুঁজে পায় তারা অবশ্যই আপনার বিচার করবে। তিনি আরো জানান, আমরা সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে বারশত পঞ্চাশ টাকা দৈনিক ভাড়া হিসেবে অটো স্ট্যান্ড নিয়েছি। কিন্তু এই অটো স্ট্যান্ডটি আমরা নিজেরাও পরিচালনা করি না। আমরাও অন্য এক পর্টিকে ভাড়া দিয়েছে কিন্ত এই স্ট্যান্ডে কত গুলো ইজি বাইক স্ট্যান্ড করা হয় তা আমার জানা নাই।

সিএনজি স্ট্যান্ডের টেন্ডারের বিষয়ে বিএনপি নেতা আব্দুল মজিদের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোন বগুদিন যাবত বন্ধ বলে জানা যায়।

অবৈধ স্ট্যান্ডের ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম (পিপিএম) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জিমখানাস্থ মন্ডলপাড়া অবৈধ অটো স্ট্যান্ডটির বিষয়ে আমরা জানা ছিল না। তবে এখন আমি বিষয়টি অবগত হলাম। পুরো বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বাজার কর্মকর্তা মোঃ জহির জানান, ২০১৮/১৯ সালের জন্য শুধূু মাত্র বেবি/সিএনজি স্ট্যান্ডের টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডার নিয়েছে বিএনপি নেতা মজিদ। ইজিবাইকের অবৈধ স্ট্যান্ডটি অবৈধ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ