আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিবাচনী প্রচারণায় পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক বাধাগ্রস্ত বিরোধী দল: মান্নান

তাওসিফ মাইমুন: দলীয় নেতা-কমীদের গ্রেপ্তার, নিযাতন, ধানের শীষের পোষ্টার ছিড়ে ফেলাসহ নিবাচনী প্রচারণায় পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক বাধাদানের অভিযোগ করেছেন, ঢাকা-১০ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।

বুধবার(১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রাথীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বতমানে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে উপরে অাল্লাহ নিচে গণমাধ্যম ছাড়া অামাদের দেখার কেউ নেই। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে সরকার বাহিনী কর্তৃক বারংবার হামলার শিকার হয়েছি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক লিখিত অভিযোগ করেও এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মান্নান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা ১০ আসনে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি, তফসিল ঘোষণার পর সাত থেকে আটটি মামলাসহ মোট শতাধিক মিথ্যা ও গায়বী মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাধা দান মারধরসহ অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও ক্ষমতাসীন দলের কর্মী কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে। পুলিশ নির্দ্বিধায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গায়েবী মিথ্যা মামলায় এরেস্ট করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনী অপেক্ষায় ছিলাম যেহেতু চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের নামে মাঠে নামানো টা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সেহেতু আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা আমাদের প্রচার-প্রচারণা তুমুলভাবে চালাবো।

সিইসির কথা পুলিশ মানছেন না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার বাহিনী কর্তৃক বিরোধীদলীয় বাধা প্রচারণায় বাধা প্রদানের লিখিত অভিযোগ নিয়ে সিইসির কাছে গেলে তিনি জানান পুলিশ আমাদের কথা মানছেন না।

তিনি বলেন, অামার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল ইকবালক তাঁর নিজ বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা নিয়ে গেলে আমি তার সাথে দেখা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থন করেও সাথে দেখা করতে পারিনি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা সাথে দুই ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পোস্টার লিফলেট ছেরা পোড়ানো ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা মাইক ভাঙচুর মেমোরি কার্ড নিয়ে যাওয়া পোষ্টারের কাজে নিয়োজিত দিনমজুরদের গালিগালাজ অমার দূর করাসহ উম্মার দূর করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত কার দলীয় লোকজন।

ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী অারো বলেন, অামার বাসভবনের চারপাশে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করা এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে আমার কর্মীসমর্থকরা আমার সাথে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা করতে আসতে পুলিশ গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকেন। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশন উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

এসময় তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা কৌশলে অামাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তারা অামাদের একেবারে সিনিয়র নেতাদের চেয়ে যারা ভালো সংগঠক তাদেরকেই হামলা মামলা করে প্রতিনিয়ত হয়রানু করছে।

এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ