আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জ বিএনপির ভবিষ্যৎ জানেনা কেন্দ্র

সাবিত আল হাসান

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটির ভবিষ্যৎ জানেন না খোদ দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও। অথচ বিএনপির রাজনীতিতে ঢাকার পরেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ন জেলা নারায়ণগঞ্জ। আন্দোলন সংগ্রাম ও ভৌগলিক দিক থেকেও বরাবরই রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জ তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। অথচ সেই নারায়ণগঞ্জেই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মহানগর বিএনপির কার্যক্রম আদালতে আটকে। একই দশায় কমিটি বিহীন প্রায় ৪ মাস ধরে রয়েছে জেলা বিএনপি।

তবে কি হবে এই দুই কমিটির ভবিষ্যৎ আর কবেই বা কোন্দলের চাইতে দলের পরিচালনায় গুরুত্ব দিবে নেতাকর্মীরা তা জানাতে পারেনি খোদ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। ফলে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের হতাশা সহসেই কাটছে না তা আবারও পরিষ্কার। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সমন্বয় না থাকার ফলেই দীর্ঘদিনের এই অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারছেনা বিএনপি।

বিএনপির নারায়ণগঞ্জ মহানগর এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির বিষয়ে জানতে দৈনিক সংবাদচর্চার সাথে মুঠোফোনে কথা হয় বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাথে। তিনি সংবাদচর্চাকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে সেসব কবে কাটবে তা আমি নিজেও বলতে পারছি না। বিশেষ করে করোনার মাঝে এই সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা একেবারেই সম্ভব নয়। করোনার পরে এ বিষয়গুলো নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পূর্বে সোনারগাঁ বিএনপির এক নেতা জেলা কমিটির গুরুত্ব পূর্ন পদ পেতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিএনপিতে। এনিয়ে আলোচনা সমালোচনার মাঝেই হারিয়ে যায় গুঞ্জন। গত ২১ ফেব্রæয়ারি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার পর উপজেলা ও পৌর কমিটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা। কিন্তু ৪ মাসেও বিন্দুমাত্র অগ্রগতি দেখাতে পারেননি তারা। ফলে জেলা কমিটির নির্দেশে যারা এতদিন উপজেলা গুলোতে কাজ করে আসছিলেন সেসবও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় নেতার এমন বক্তব্যের পর কবে নাগাদ জেলা কমিটি গঠিত হবে তা অনিশ্চয়তার জালেই রয়ে গেল।

একই ভাবে দলীয় কোন্দলের কারনে মহানগর বিএনপির কার্যক্রম প্রায় ৭ মাস ধরে আদালতের ফাইলে আটকে রয়েছে। দুপক্ষের কারও কাছ থেকেই সুরাহার কোন উদ্যোগ না হওয়ায় কমিটি বাতিলও চেয়েছেন সাধারণ কর্মীরা। কিন্তু তাতে বিশেষ কোন লাভ হয়নি কর্মীদের। নেতারা মামলার অজুহাতে আয়েশী দিন পাড় করে যাচ্ছেন মাসের পর মাস।

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে কমিটি  গুলোর দ্রæত পূর্নগঠন ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। বিএনপি নেতাদের আয়েশী জীবন চলতে থাকলে এর ভবিষ্যত দলের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত বয়ে নিয়ে চলবে। দল পরিচালনার ক্ষেত্রে সক্রিয় ও কঠোর নেতৃত্ব অত্যাবশ্যক। একই সাথে জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির দায়সারা ভাব থেকে সরে আসা জরুরী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ