আজ মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে হেভিওয়েট ৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী

হেভিওয়েট

হেভিওয়েটনিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রমান দিতেই নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চারজন হেভিওয়েট প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

উপজেলা ও জেলা রির্টনিং অফিসারের কাছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাত ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদক অনন্যা হুসাইন মৌসুমী। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন ও আওয়ামী লীগের শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহাম্মেদ পলাশ নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে প্রথমবার দলীয় মনোনয়ন পেতে কয়েক মাস ধরে দৌড়ঝাপ, গণসংযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদক অনন্যা হুসাইন মৌসুমী। সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার চেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি দাবি নিয়ে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে ভোটের লড়াই করতে মনোনয়ন পত্রটি দাখিল করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন, সাধারন ভোটারদের কাছে গ্রহণ যোগ্যতা ও গণমানুষের দাবির জয় হবে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে মনোনয়ন পেয়ে ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাত। ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির সাথে আসন ভাগাভাগিতে ওই আসটিতে জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ভাগ্যকাশ খুলে যায়।

দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার। একই পরিণতি ঘটে আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে। ফের মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকা। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাধারন ভোটারদের দাবি এ আসনে কায়সার হাসনাতের জনপ্রিয়তা বেশি। তারা বলছেন, আমরা ভোট দিব কায়সার হাসনাতকে। নৌকা মার্কা পাইলে আমাদের আরও ভাল লাগত।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন তার ঝুলিতেই। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহাম্মেদ পলাশ। দলীয় প্রার্থী না হতে পেরে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে। তবে একটি সংবাদপত্র তার ১৫০ টির বেশি ভোট নেই বলে দাবি করেছিলেন।

তবে তিনি প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ওই আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। তবে পলাশ শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে থাকবেন কি না ? এমন প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন। তার এ মনোনয়ন দাখিলের পর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা এলাকার বিভিন্নস্থানে বইছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।

ওই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত ২০০১ সালের সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন। এ আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত এ নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নিতে ও নিজের জনপ্রিয়তার প্রমান দিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এ আসন থেকে গিয়াস উদ্দিন বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে ২০০১ সালে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ আসনে সাবেক দুই এমপি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তাদের জয়লাভ করা সম্ভব বলে জানা যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার হাসনাত ও কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদক অনন্যা হুসাইন মৌসুমী। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন ও শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহাম্মেদ পলাশ তাদের সাথে কথা হলে এ বিষয়ে তারা জানান ভোটের মালিক জনগণ। জনগণ যাকে ভোট দিবেন তিনি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করতে পারবেন। তারা সবাই আশাবাদী বলেই জানান।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ