আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে রেললাইনের দুই পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য দোকান পাঠ ,যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

নারায়ণগঞ্জের রেললাইনের গা ঘেঁষে দুই ধারে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য দোকানপাঠ , যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের র্দূঘটনা

নারায়ণগঞ্জের রেললাইনের গা ঘেঁষে দুই ধারে গড়ে উঠেছে অবৈধ্য দোকানপাঠ , যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের র্দূঘটনাসংবাদচর্চা রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জের রেলস্টেশন থেকে চাষাড়া রেল রেলস্টেশন পর্যন্ত রেললাইনের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ্য দোকানপাঠ। এই সমস্ত অবৈধ্য দোকানপাঠের কারণে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা আর এতে অকালে প্রাণ চলে যেতে পারে অনেক নিষ্পাপ মানুষের। দেখা যায় যে, পৃথিবীর সভ্য দেশগুলোতে পুরো রেললাইনটাই থাকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা আর আমাদের দেশে সর্ম্পূণ রেললাইনটাই হচ্ছে অরক্ষিত্। ফলে দখলদাররা দেদারসে যে যেমটি পারছে দখল করে সেখানে দোকানপাঠ তুলে ব্যবসা-বাণিজ্য, থাকার বাড়ী-ঘর বানিয়ে চলছে ভাড়া চালাচ্ছে । সবকিছু যেন মগের মুল্লুক। কারো কাছে কোন রকমের জবাবদিহি করার দরকার হয়না। আর এসমস্ত কাজ যে, তারা লুকিয়ে করছে তা নয়।

সবকিছু ওপেন সিক্রেট, ডোন্ট কেয়ার ভাব। সরেজমিনে দেখা যায় যে, নারায়ণগঞ্জের প্রধান রেল স্টেশনে অনেক বস্তিঘর রেললাইনের গাঘেঁষে গড়ে উঠেছে ঐখানে অনেক মহিলা-পুরুষ বিচরণ করছে। মহিলারা যে যার মতো মাটির উনুন বানিয়ে রান্নার কাজে ব্যস্ত আছে আর ছোট ছোট শিশুরা আপন মনে রেললাইনের উপর খেলা করছে তারা কিছু বুঝার আগেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের র্দূঘটনা। নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে চাষাড়া রেলস্টেশন পর্যন্ত স্টেশনের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ্য দোকান এর মধ্যে খাবারের দোকান,জুতার দোকান, ফলের দোকান, গৃহস্থালী বিভিন্ন আসবাপত্রের দোকান, জুট ব্যবসায়ীদের গুডাওন, থান কাপড়ের দোকান , কাঁচা-বাজারের দোকান, মুচির দোকান, লোহা-লক্করের দোকান, এছাড়া গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পণ্যের দোকান। দোকানগুলো গড়ে উঠেছে ঠিক রেললাইনের গা ঘেঁষে। অথচ প্রতিদিন এই লাইন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ মোট ১৬ বার আপ-ডাউন করে থাকে। যখন ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা অভিমূখে রওনা হয় তখন আশে-পাশ্বের দোকানদাররা ও ত্রেতারা চিৎকার শুরু করে দেয় এবং উভয়দিকেই ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায় আবার যখন ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া রেললাইন ক্রস করে তখন সেখান থেকেও আশে-পাশ্বের দোকানদাররা ও ত্রেতারা চিৎকার শুরু করে দেয় এবং উভয়দিকেই ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায়। উভয়দিকেরই দোকানদারদের একটু অসর্তকতার কারণে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূঘটনা এতে ভয়াভয় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এবং মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে অনেক তাজা নিষ্পাপ প্রাণ।

অনেক দোকানদার, পথচারী ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, যখন ট্রেন এখানকার লাইন দিয়ে যাওয়া-আসা করে তখন তারা সবাই আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়ে কারণ তখন দোকানদার থেকে শুরু করে পথচারীরা এবং আশে-পাশ্বে একটা শোরগোল শুরু হয়ে যায় যদি কেউ একটু অসর্তক বা অন্য মনস্ক হয়ে পড়ে তাহলে তার ভাগ্যে খারাপ কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। তারা জানায় যে, এখানকার প্রতিদোকান থেকে প্রতিদিন বিশাল অংকের চাঁদা উঠানো হয় আর এই চাঁদার টাকা রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কতিপয় ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক নেতা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসাধূ কর্মকর্তার পকেটে যায়। আর এতে তারা অবৈধ্য দোকানদারদের শেল্টার প্রদান করে থাকে। আর যদি কখনও মবিল কোর্ট হানা দেয় তার আগেই তারা অবৈধ্য দোকানদারদের জানিয়ে দেয় তখন দোকানদাররা দুই এক দিনের জন্যে দোকানপাঠ গুটিয়ে নেয়। দুই ্একদিন পর আবার নতুন উদ্যেমে শুরু করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য। আমাদের দেশ যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে এই সমস্ত অনিয়ম অনবরত চলতে পারে না। তাই বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আগেই তা রোধ করার জন্য অবশ্যই রেললাইনের ঐ সমস্ত অবৈধ্য দোকানপাঠ উচ্ছেদ অভিযান এক্ষুনি শুরু করা অতি জরুরী বলে জনসাধারন মনে করে। এতে রক্ষা পাবে নিষ্পাপ মানুষের মূল্যবান জীবন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ