আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও দিক নির্দেশনা প্রদান

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুজিব শতবর্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রাণীসম্পদ বিভাগীয় সেবা জনগণের দোরগড়ায় পৌছানোর লক্ষ্যে উপসহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন ও দিক নির্দেশনা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডস্থ ফতুল্লায় জেলা প্রাণীসম্পদ অফিস প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক(সম্প্রসারণ) ডা. মোঃ লুৎফর রহমান খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। আমাদের ছোট বেলার সময়ের কথা যদি চিন্তা করি তাহলে দেশ অনেক এগিয়েছে তা সন্দেহ নেই এবং দেশকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ম্যান্ডেট দেয়া আছে। যা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে যে গতিতে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতেও খাদ্যশস্যে কোনো সমস্যা হবে না, কারণ বর্তমানে ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা এতো বেড়েছে যার জন্য ভাত, রুটি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে এবং প্রোটিনের উপর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই কৃষিখাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সে গতিতে আমাদের আগালে হবে না, আমাদের আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। বর্তমান সরকার যা বলে তা কোনো হাস্যরস না, সবকিছু বাস্তবায়ন হয়। তা আমাদের পদ্মা সেতু দেখলে বোঝা যায়। যা নিয়ে অনেক হাস্যরস হয়েছিলো কিন্তু আজকে পদ্মার বুকে স্বগর্বে দাড়িয়ে আছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(‘ক’ অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী বলেন, ১৯৭১ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। যখন এ দেশ স্বাধীন হয় তখন এদেশে জনসংখ্যা ছিলো সাড়ে সাত কোটি। তখন দেশে খাদ্যের ঘাটতি ছিলো। আজকে দেশে জনসংখ্যা ১৬ কোটি কিন্তু আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা খাদ্য রপ্তানি করেও থাকি। এই স্বার্থকতা এবং এর সাফল্য আপনাদের। আপনাদের গবেষণা, আপনাদের অধ্যবসায়ের ফলে আজকে এই সাফল্য আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। সেজন্য এর সাথে যারা জড়িত রয়েছেন সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ করে আমরা কাজ করে যাবো। আমাদের সেক্টরকে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে আমাদের যা যা করা লাগবে আমরা করবো। আজকে দেশি জাত উন্নয়ন হয়েছে বলে আমরা খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আগে ধনী মানুষরাও সচারাচর ডিম, দুধ মাংস হিসেব করে খেত আর এখন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আমরা দুধ, ডিম, মাংস পৌছিয়ে দিয়েছি। এর আগে দশজন অবসরপ্রাপ্ত দশজন কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

এইসময় আড়াইহাজার উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবু কাউসার’র সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক(বাজেট) ডাঃ মোঃ হাসান ইমাম, উপ-পরিচালক ডাঃ আ,হ,ম সাইফুল ইসলাম খান, কৃত্রিম প্রজনন ও ঘাস উৎপাদন উপ-পরিচালক এ কে এম আরিফুল ইসলাম, জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের সার্জন ডাঃ কবির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

আরএইচ/এসএমআর

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ