আজ রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে ছিনতাইকারীর সংখ্যা বাড়ছে

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
গণজমায়েত এ যেন অত্যন্ত খুশির সংবাদ! ভীর তাতো আরো ভালো। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে গণজমায়েত হলে এক শ্রেণীর মানুষের যেন মেঘ না চইতে বৃষ্টি পাওয়ার উপক্রম হয়। কথা গুলো হচ্ছিলো নারায়ণগঞ্জ শহর সহ এর আশপাশ এলাকার চোর, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, খয়ের পার্টি সহ অসংখ্য পাতি মাস্তানদের বিষয়ে। এসকল চোর, ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, খয়ের পার্টি সদস্যরা অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে কবে নগরীতে সভা-সমাবেশ হবে, কবে বিশেষ উপলক্ষ হিসেবে কর্মব্যস্ত মানুষগুলো ব্যস্ত জীবনের বাহিরে গিয়ে একান্ত ভাবে একটু সময় পার করবে।

জানা যায়, বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, ছুটি সহ বিশেষ দিন গুলোতে যেখানেই মানুষের সমাগম বেশি থাকে সেখানেই সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী, মলম পার্টি, মোবাইল চোরদের আনাগোনা বেশি থাকে। সুযোগ সময় দেখে সাধারণ মানুষদের ক্ষতি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মূল্যবান সম্পদ যার মধ্যে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় মূল্যবান সরঞ্জাম রয়েছে। ভুক্তভোগীদের মতে টাকা যায় ঠিক আছে তবে চিন্তার বিষয় টাকার পাশাপাশি অনেক ব্যক্তিগত তথ্যও চলে যায়। ব্যক্তিগত তথ্য গুলো ব্যবহার করে ছিনতাইকারী ও চোরেরা এর থেকে বড় রকমের অপরাধ সংগঠিত করতে পারে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক সংবাদচর্চার বিশেষ অনুসন্ধান চলাকালে একজন ভূক্তভোগী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস একুশে ফেব্রুয়ারী-২০১৯ উপলক্ষে প্রথম প্রহরে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে শহীদ মিনারের প্রবেশ পথেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ভীরের মধ্যে আমার পকেট থেকে ব্রান্ডের একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। ভীরের মধ্যে আমি একাধিকবার চিৎকার করলেও মাইক ও বিভিন্ন সংগঠনের শ্লোগানের কারনে উপস্থিত কেউই আমার কথা শুনতে পায়নি। এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ কিংবা সাধারণ ডায়েরী করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মোবাইলে দাম হয়তো ৮ কিংবা ৯ হাজার টাকা হবে। অভিযোগ কিংবা জিডি করলে পুলিশের পিছনে ছুঁটতে ছুঁটতে যে টাকা খরচ হবে সেই টাকা দিয়ে আমি নতুন একটি মোবাইল ফোন কিনে নিতে পারবো। তবে আমার অনেক মূল্যবান ডাটা ছিলো সেই ফোনে যা আগামী একযুগ সাধনা করলেও পাবো না। তিনি আরো জানান, কর্মব্যস্ত মানুষ সকালে গাড়িতে চড়তে হুড়োহুড়ি করে গাড়িতে উঠার সময় ছিনতাই চক্রের সদস্যরা মোবাইল মানিব্যাগ হাতিয়ে নেয় সু-কৌশলে।

উল্লেখিত ছিনতাইকারী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পায়না পুলিশ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সহ সিভিল সোসাইটির মানুষেরা। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ভুক্তভোগি একজন সাংবাদিক দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, আমি ঢাকা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে যাওয়ার সময় সকাল আনুমানিক পৌনে ১০টার দিকে মেঘনা গাড়িতে উঠতে গেলে আমার পকেটে থাকা একটি এনড্রোয়েড মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলি। মোবাইল চোরেরা অনেক পেশাদার হওয়ায় কখন আমার ফোনটি হাতিয়ে নিয়েছে তা আমি টের পাইনি।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের লিংক রোডে কাক ডাকা ভোর ও সন্ধা নেমে আসলেই চোর সহ ছিনতাইকারীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাইনবোর্ড নামক স্থানটি এতটাই স্পর্শকাতর এলাকা যে, কোন দূর্ঘটনা কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেই দেখা যায় অভিন্ন এক চিত্র। নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকাটির এক পাশে সিদ্ধিরগঞ্জ অন্য পাশে ঢাকা মেট্রোপলিটন এবং আরেক পাশে ফতুল্লা মডেল থানা। দূর্ঘটনা কবলিত ভুক্তভোগীরা থানা পুলিশের কাছে গেলে থানা পুলিশের সদস্যরা ফতুল্লা থানা এলাকার কথা বলেন, কেউ বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ আবার কেউ বলেন মেট্রোপলিটন এলাকা। থানা পুলিশের এই সমন্বয়হীনতার কারণে ব্যাপক সুবিধা ভোগ করছে ছিনতাইকারীরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ