আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারীঘটিত দ্বন্দ্বে বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: আড়াইহাজারে বন্ধুকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক বন্ধু।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালতে আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে আড়াইহাজার থানা পুলিশ উপজেলার গোপালদী বাজার থেকে হত্যা মামলার আসামি শুভ রায়কে (২০) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত শুভ রায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের শংকর চন্দ্র রায়ের ছেলে। তিনি তার মামা বাড়ি উপজেলার উলুকান্দি গ্রামে থাকতেন।

গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আজাহার জানান, উপজেলার দড়িবিশনন্দী গ্রামের সাইফুল নামের এক যুবকের লাশ বুধবার বিকালে গোপালদী মসজিদ মার্কেটের ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তার বোন লিজা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি শুভ রায়কে গ্রেফতার করলে জিজ্ঞাসাবাদের তিনি সাইফুলকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন।

আজাহার আরো জানান, নারী ঘটিত ব্যাপার নিয়ে দুই জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটার আগে মঙ্গলবার রাতে দুই বন্ধু একসাথে নাস্তা করেন। এরপর ছাদে নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে ঘাতক শুভ সাইফুলকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করেন। এতে নাড়িভুড়ি বের হয়ে গেলে শুভ সাইফুলকে জবাই করে গলা কেটে ফেলেন। পরে লাশ ছাদে ফেলে দিয়ে চলে আসেন।

তিনি আরো জানান, ঘটনার দুই দিন আগে সাইফুল একটি ছোরা কিনে রাখেন হত্যাকাণ্ড ঘটাবে বলে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত ১১ আগস্ট রাত অনুমান সাড়ে আটটার দিকে খুন হয় সাইফুল। পাওয়া যায় গলা কাটা লাশ গোপালদি বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলার ছাদে। মামলা রুজু হয় ১২ আগস্ট আড়াইহাজার থানায়। মাত্র ২৪ ঘন্টায় উদঘাটন হয় হত্যার রহস্য। ভিকটিম সাইফুল ইসলাম ও আসামি শুভ রায় কাজ করত গোপালদি বাজারের মনির মেডিকেল হল নামক ওষুধের দোকানে। একটি ত্রিভুজ প্রেমের কারণে খুন হয় সাইফুল। তবে ঘটনার নেই কোন প্রত্যক্ষদর্শী, নেই কোন প্রমাণ। পুলিশের বিচক্ষণতায় স্বল্প সময়ে বের হয়ে আসে ঘটনার রহস্য। উদ্ধার হয় খুনের সময় ব্যবহৃত রক্তমাখা কাপড়। দুজনই গোপালদি বাজার সংলগ্ন নিজ নিজ মামা বাড়িতে থাকত। নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম সার্বিক দিক নির্দেশনায় আড়াইহাজার থানার তদন্ত টিম দ্রুত হত্যা রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সাধারন জনগণ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ