আজ রবিবার, ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারীঘটিত কারণে প্রবীর হত্যা!

প্রবীর ঘোষ হত্যা

নারীঘটিত কারণে প্রবীর হত্যা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যাকান্ড শুধু মাত্র ব্যবসায়ীক লেনদেনের কারণেই ঘটেছে নাকি হত্যাকারীর অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল? হত্যাকান্ডে কি ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, হত্যার ঘটনাস্থল কোথায়, কেন এই হত্যাকান্ড এবং আরও কারা জড়িত এমন নানা প্রশ্নের খোঁজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে আটককৃত ঘাতক পিন্টু ও বাপনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এদের কাছ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হত্যা রহস্য উম্মোচন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে কালীরবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেখতে সুদর্শন হওয়ায় নারী গ্রাহকদের কাছে বেশ আকর্ষণ ছিল। সুঠাম দেহ ও মুখশ্রীর জন্য নারীদের বেশ লম্বা লাইন ছিল তার দোকানে। নকশার কারিগর হওয়ায় নারীদের অলঙ্কারের বিষয়ে পারদর্শী হওয়ার সাথে সাথে নারী পটাতেও বেশ পটু ছিলেন ‘লেডিকিলার’ পিন্টু। পিন্টুর আশ্রয়দাতা ও ওস্তাদ অপু রায়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে অপু ও তার পুত্রকে হত্যার বিষয়টি কালীরবাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছে। সেই প্রবীরের স্ত্রীর সাথেও কোন সর্ম্পক থাকতে পারে বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।
কালীরবাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঘটনার দিনও ওই বাড়িতে একজন সুন্দরী নারী উপস্থিত ছিলেন। পিন্টুর বাড়িতে প্রায় বসতো মদের আড্ডা। কখনো কখনো আসরে গভীর মাদকতা নিয়ে আসতো সুন্দরীরাও।
সূত্র আরও জানায়, পিন্টু দেবনাথ প্রায় ২০-২২ বছর যাবৎ এই স্বর্ণপট্টিতে রয়েছে। তার বাড়ী কুমিল্লা চন্দনপুর। নারায়ণগঞ্জে তিনি একা আসেন এবং সুচতুর বুদ্ধিতে আজ দুই দোকানের মালিক এবং কোটিপতিও বটে। স্বর্ণপট্টির স্বর্ণের নকশা মাস্টারখ্যাত প্রয়াত অপুর সহকারী ছিলেন পিন্টু দেবনাথ। দেখতে সুদর্শন পিন্টু দ্রুত নকশা কাজ বুঝে যাওয়ায় অপু তাকে দিয়ে অনেক স্বর্ণ তৈরি কাজ করাতেন।
পিন্টু আমলাপাড়া এলাকাতে রাশেদুর ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার যে ফ্লাটে থাকেন এক সময়ে ওই ফ্লাটেই থাকতেন অপু। প্রায় পনের বছর পূর্বে অপু রায় পরলোক গমন করলেও সে বাড়িতেই অপু রায়ের স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে থেকে যায় পিন্টু। কয়েক বছরের মধ্যে অপুর ছেলেটিও মারা যাবার পরে পরকীয়ার বিষয়টি এক মুখ থেকে দশমুখ হবার পরে অপু রায়ের পরিবার তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। তখন থেকে একাই থাকা শুরু করে পিন্টু।এরপর হঠাৎ করেই অর্থবিত্তের মালিক বনে যায় পিন্টু। গ্রামে ভাইদের জমি কিনে বাড়িও বানিয়ে দিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, অর্থবিত্ত হবার পরে নারীলিপ্সা আরো বেড়ে যায় পিন্টুর। মধ্যবিত্ত ঘরের অনেক সুন্দরী নারীদের শয্যাসঙ্গীও করেছেন এই ঘাতক।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ