আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারীকুলের ভাগ্যোন্নয়নে দিনরাত ছুটে চলেছেন এমপি লিটা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারী উন্নয়নে কাজ করার মনোবাসনা ছিলো সেই ছাত্রজীবন থেকেই। পরবর্তীতে সমাজের নারী জাতির উন্নয়নে, তাদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার বাস্তবায়নে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে মাঠে নামেন তিনি। জনসেবা করার সুযোগ করে দিয়ে এলাকাবাসিও তাকে দুই দুইবার নির্বাচিত করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে।

তাদের ভালোবাসা পেয়ে লোভ-লালসা বিসর্জন দিয়ে তিনিও ঝাপিয়ে পড়েন নারী কুলের উন্নয়নে। এরপর নজরে পড়েন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি সুযোগ করে দেন বড় পরিসরে কাজ করবার।নির্বাচিত করেন দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন-৩০১(ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়) এর সংসদ সদস্য।

দায়িত্ব এসে পড়ে উপজেলার গন্ডি পেড়িয়ে দুই জেলার। আর তাই নারীকুলের উন্নয়নে দিনরাত ছুটে চলেছেন সেই নারী।

এতোক্ষণ যার কথা বলছিলাম তিনি আর কেউ নন, সকলের পরিচিত এমপি সেলিনা জাহান লিটা। নিজ কর্ম যোগ্যতায় যিনি এখন শুধু ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ে না, সারাদেশের পরিচিত একটি মুখ।

ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধ্যারই গ্রামে এক মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। পুরো নাম মোছাঃ সেলিনা জাহান লিটা। বাবার নাম মরহুম আলী আকবর এমপি।

আলী আকবর এমপিও ছিলেন এলাকার সর্বস্তুরের মানুষের নয়নের মনি। একজন আদর্শ মানুষ। “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য ” এমন ধারাবাহিকতায় তিনি তাঁর জীবনকাল পার করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শের একজন সৈনিক ছিলেন তিনি। মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকতেন। মানুষকে ভাল রাখতে সবসময় সৎ পরামর্শ দিতেন। পথভ্রষ্টদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতেন। নিজের জায়গা জমি বিক্রী করে হলেও মানুষের বিপদে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করতেন। মানুষকে মামলা মোকদ্দমায় জড়াতে দিতেন না শত অপমান কষ্ট সহ্য করে হলেও আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে সমাজে শান্তি বজায় রাখতেন।

শুধু তাই নয় এলাকার মানুষ শিক্ষিত হবে বেকারত্ব দুর হবে আলোকিত হবে রাণীশংকৈল এমন স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও সামাজিক সংগঠন।

জেলার বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করে এক উজ্জল স্বাক্ষর রেখে গেছেন তিনি। আলী আকবর এমপির নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠন করে স্থানীয় যুবকদের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য ডাক বাংলোতে ট্রেনিং করিয়েছিলেন। এমন হাজারো গুনের মানুষ ছিলেন আলী আকবর এমপি। সেই মহৎ ব্যক্তিরই উত্তরসূরী এমপি লিটা।

বাবার আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পতাকার ছায়াতলে রাজপথ দখল করে রেখেছেন তিনি। দলীয় কর্মসূচী, সভা সমাবেশে ছিলেন খুব মনোনিবেশ এখনও তা অব্যাহত রেখেছেন।

বুক ভরা আশা নিয়ে রাণীশংকৈল উপজেলাবাসি তাঁকে পর পর দুইবার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এরপর নজরে আসেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচিন্তার ফসল হিসেবে সংরক্ষিত ৩০১ আসনের মহিলা এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এলাকাবাসির আশায় বুক ভরে যায়। এমন খুশির সংবাদ পেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকাবাসি বিজয় মিছিলও করেছে। লিটা এমপির প্রতি রাশি রাশি দুয়া ছুড়ে দেন সকল স্তরের মানুষ। তিনিও জনগণের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ভালবাসা উজাড় করে নেমে পড়েন জনকল্যাণে।

বাবার আদর্শের ফসল হিসেবে দিন দিন সেবা মূলক কাজের পরিধি বিস্তার করে যাচ্ছেন। সমাজের উন্নয়নের বিপ্লব ঘটাতে নারীদের সমিতি ভূক্ত করে সংঘবদ্ধ করেন। এসব নারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বাল্য বিয়ে, যৌতুক, মাদক, নারী নির্যাতন সহ সমাজের ব্যাধিগুলো দুর করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তারা উন্নয়নের বিপ্লব ঘটাচ্ছেন নিজেদের মধ্যে।

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা সেবা মূলক কাজের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। নারীরা সমাজের বোঝা নয় এমন ভূমিকা রাখছেন তিনি।

সমাজ শাসন থেকে শুরু করে প্রতিটি ধাপে ধাপে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছেন লিটা এমপির সংঘবদ্ধ এসব সচেতন নারীরা।

মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের (বীরঙ্গণা) সম্মানী ভাতার ব্যাপারে মহান জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সারাদেশের মহিলা মুক্তিযোদ্ধারা আজ সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। রাজনৈতিক জীবনে এটি তাঁর এক বড় অবদান।

মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন আলী আকবর এমপি মেমোরিয়াল অটিস্টিক প্রতিবন্ধি স্কুল।

এছাড়াও আলী আকবর ক্রীড়া একাডেমী, প্রমীলা ফুটবল দল সহ ক্রীড়ায় অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এই একাডেমীর খেলোয়াড়রা বিকেএসপি থেকে শুরু করে ঢাকার মাঠে বিচরণ করছে। ক্রীড়াঙ্গনেও তিনি আলোকোজ্জল অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

এমপি লিটা সমাজকে জঙ্গিবাদ, বাল্য বিয়ে, নারী নির্যাতন, যৌতুক, মাদক মুক্ত করে গড়ে তোলার জন্য সংরক্ষিত আসনের প্রতিটি এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ক্লাব, সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সচেতনতা মূলক কর্মসূচী পালন করে বেশ সফলতা পেয়েছেন। উন্নয়ন মূলক কাজে সকল স্তরের মানুষকে তিনি সচেতন করছেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট, স্কুল কলেজ ভবন নির্মান-সংস্করণ, মসজিদ মন্দিরে সরকারি ব্যক্তিগত অনুদান অব্যাহত রেখে চলেছেন। ঝরে পড়া শিশুদের ব্যাপারে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন।

অবহেলিত নারী পুরুষের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন তিনি। এলাকার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ছুটাছুটি করছেন কি করে এলাকার উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে ভাবছেন সব সময়।ভাবছেন কিভাবে দলীয় অবস্থান আরো মজবুত শক্তিশালী করা যায়। দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঝটিকা কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

তিনি নারীদের মাঝে যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়।

তার স্বভাবসুলভ আচরণের কারণে খুব অল্প সময়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যেন নিজের তাগিদেই মানুষের খোজ খবর রাখেন সব সময়। অসুস্থ মানুষের কথা শুনলে চিকিৎসার ব্যপারে সার্বিক খোজ খবর রাখেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় খাদ্য বস্ত্রের পাশাপাশি ফ্রি চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে মানুষের নজর কেড়ে নেন সে সময়।

কিন্তু এলাকার উন্নয়নে, নারী জাগরণে সদিচ্ছা থাকা সত্বেও শুধুমাত্র সংরক্ষিত এমপি হওয়ায় অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয় তাঁকে। তারপরও থেমে নেই তিনি। দিনরাত একাকারকরে ছুটে চলেছেন অবহেলিত নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ