আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপর বেড়েই চলছে শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতন

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষকরা শিশু শিক্ষার্থীদের কে হাত পা বেধে পিটিয়ে আহত করছে। পেটনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবছর শত শত শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ছে। দেশের উচ্চ আদালত রায় দিয়েছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেত বা লাঠি দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানো যাবে না। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকরা। এমন ভাবে শিশুদেরকে বেত দিয়ে পেটাচ্ছে যা আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ কে হার মানায়। অভিভাবকরা এ নির্যাতনের প্রতিকার চায় প্রশাসনের কাছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মাসদাইরে হিফযুল কুরআন ক্যাডেট একাডেমীর হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী শিশু জুবায়ের হোসেনকে বেধড়কভাবে বেত্রাঘাত করে আহত করে শিক্ষক জিকরুল্লাহ। শিশুটির সারা শরীরে বেতের আঘাতের চিহ্নি রয়েছে। যা দেখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঐ শিক্ষক কে বহিস্কার করে।

গতকাল বৃহষ্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের হিরাঝিল আবাসিক এলাকার ২নং রোডের ২নং বাড়ীতে অবস্থিত আন-নাজাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাসিব কে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে। শিশুটির গায়ে বেতের আঘাতের ছবি ভাইরাল হয়ে গেলে সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় বইছে। শিশুটির বাবা শিশু নির্যাতন আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করছে। মামলার পরে শিক্ষক রূপের দানব আব্দুর রহমান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ জানায়, বুধবার রাতে এশার নামাজের পর ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু ছাত্র হাসিব দুষ্টুমি করায় শিক্ষক আব্দুর রহমান তাকে বেত্রাঘাত করে। এতে তার শরীর গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শিশু আইনের ৭০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া অভিভাবকসহ সমাজের বিশিষ্ট জনেরা মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মকর্তা এবং প্রশাসন কে জেলার মাদ্রাসা গুলোতে নজর দারি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে অভিভাবকরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ