আজ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের মামলায় বিএনপির ১৯৭ জন আসামী

নারায়ণগঞ্জে নাশকতার অভিযোগে পৃথক ৩টি মামলায় ১৯৭ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। প্রতিটি মামলারই বাদী হয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে দিকে নগরীর চাষাঢ়া এলাকার ডাক ঘরের সামনে ১০০ থেকে ১৫০ জন বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে মশাল, লোহার রড, ধারালা মরাত্মক অস্ত্র, ইটপাটকেল, ককটেল বোমা নিয় সড়ক টায়ার জ¦ালিয়ে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির করে অংগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত চাষাঢ়া এলাকায় আসতে থাকলে পুলিশ দেখেই বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে এই ঘটনায় সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩৫জন অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন।

সদর থানার মামলার আসামীরা হলেন, বিএনপি সদস্য শওকত হোসেন, জুয়েল নূর, মো. হারুন অর রশিদ, হাসিবুল ইসলাম সাঈদ, আশিকুল ইসলাম সাজিদ, মনির হোসেন সরদার, ফারুক হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, মো. সাহেদ ওরফে বোমারু সাহেদ, মো. রহমান, মোজাম্মেল(৪৩), বাবু(৪৫), আনোয়ার মাহামুদ বকুল, হারুন ওরফে পোটলা ড্রাইভার, ফারুক মাল, কে এম মাজহারুল ইসলাম জুসেব, মো. শাহ আলম, ফয়সাল, লিংকন খান, সেলিম মোল্লা, গালকাটা জাকির, আক্তার হোসেন অপু, মোহাম্মদ আলী, এম হান্নান মামুন, ডিস মিঠু, শাহ জালাল, আরিফ হোসেন, কাজী সেজান, তোফাজ্জল হোসেন টিয়া।

ফতুল্লা থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিটিনে সস্তাপুর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে মশাল, লোহার রড, ধারালা মরাত্মক অস্ত্র, ইটপাটকেল, ককটেল বোমা নিয় সড়ক টায়ার জ¦ালিয়ে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির করে অংগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ দেখেই বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে এই ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬০ জন অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন। এ সময় পুলিশ মামলার আলামত হিসেব ০৩ টি বিষ্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, ০৮টি বাঁশের লাঠি, ০৪ টি লোহার রড, ০১ টি টায়ার, কয়েক টুকরা ভাঙ্গা গ্লাস উদ্ধার দেখিয়েছে।

ফতুল্লা থানার নাশকতার মামলার আসামী হলেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম মাদবর ওরফে নজু মাদবর, ভূইগড় বিএনপি ইউনিট কমিটির সভাপতি মো. আলী আহাম্মেদ ইঞ্জিনিয়ার, তুষার ধারা ২নং ওয়ার্ড ভূইগড় ইউনিট সভাপতি এনামুল হক (মামুন), কুতুবপুর ০১ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হান্নান মিয়া (২৪), কুতুবপুর নিতাইপুর ১নং ওয়ার্ড বিএনপি সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মো. লুৎফর রহমান খোকা, মো. শহিদুল ইসলাম টিটু, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য হাজী মো. শহীদুল্লাহ, মো. ইসমাইল হোসেন খান, যুবদল নো জাহাঙ্গীর, আলমগীর, মো. আমির হোসেন, মো. মিঠু, মো. রনি, শাহিন, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ইকবাল, ফতুল্লা থানা বিএনপি সদস্য জুয়েল আরমান, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারন সম্পাদক নয়ন

অপর দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নাশকতার মামলায় অভিযোগ করা হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক সংলগ্ন এশিয়ান কার এর সামনে বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে মশাল, লোহার রড, ধারালা মরাত্মক অস্ত্র, ইটপাটকেল, ককটেল বোমা নিয় সড়ক টায়ার জ¦ালিয়ে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির করে অংগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ দেখেই বিএনপি নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। পরে এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩৫ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেছেন। এ সময় পুলিশ মামলার আলামত হিসেব বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ ৫ টুকরা, ২টি পোড়া টায়ারের অংশ বিশেষ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত লাঠি ও টিনের কৌটা ৭ টি, গাড়ীর ভাংগা গ্লাস ১১ টুকরা উদ্ধার দেখিয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ