আজ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ধার করা শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে খালেদা জিয়ার স্কুল !

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নামের স্কুল ধার করা শিক্ষার্থী দিয়ে চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়টিতে চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।  ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার কেয়ারিগাঁও গ্রামের খালেদা জিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কে ১৯৯৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে নামকরণ করা হয়, এর আট বছর পর ২০০২ সালে স্কুলটি এমপিওভূক্ত হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়টি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করে জানান, বর্তমানে মাত্র ২৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এখানে পাঠদান চলছে। বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন থেকে ধার করে শিক্ষার্থী এনে এখানে কাগজ-কলমে হিসেব ঠিক রাখা হয়। তবে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর সংখ্যা ২২১ জন। তবে বাস্তবে আছে ১৪১ জন। যদিও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার রয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। ১০ম শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এছাড়া শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান ও করণীকসহ আছেন ১৬ জন। এই কর্মচারীদের পিছনে প্রতিবছর সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় হয় ৩২ লাখ ৮৪ হাজার ১৬ টাকা। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তিও দেওয়া হয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আজমা খাতুনের উদাসীনতার কারণে লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে এই বিদ্যালয়টি। অনেকে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি হচ্ছে। ফলে বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঐ শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে।’

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ