আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লার ধর্ষিতা অগ্নিদগ্ধ সেই কিশোরীর মৃত্যু

ধর্ষিতা কিশোরী

 

ধর্ষিতা কিশোরী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘ ৬২ দিন দুর্বিসহ মৃত্যু যন্ত্রনা সহ্য করে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন অগ্নিদগ্ধ সেই কিশোরী। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন।
জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ফতুল্লায় ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি ও বিচার চাওয়ায় ধর্ষিতার মাকে অপমান করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়ায় অপমানে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই কিশোরী। এসময় আগুনে তার মুখসহ শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছিলো।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষক ও ধর্ষকের মা এবং বন্ধুর বিরুদ্ধে কিশোরীর মা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হল- মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কংসপুর গ্রামের আবদুল খোকা মিয়ার ছেলে মৃদুল, তার মা পারুল বেগম এবং মৃদুলের বন্ধু মাহফুজ। তারা সবাই ফতুল্লার কাশীপুর হাটখোলা সিকদার বাড়ি এলাকায় বসবাস করে।

জানা গেছে, কিশোরীর সঙ্গে মৃদুল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে মৃদুল। প্রথম ধর্ষণের সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করে রাখে মৃদুলের বন্ধু মাহফুজ। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ফের একাধিকবার ধর্ষণ করে। সম্প্রতি ওই কিশোরী তার মায়ের কাছে খুলে বলে। এতে শুক্রবার বিকালে কিশোরীর মা মৃদুলের মা পারুল বেগমকে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে বিচার দাবি করেন। এ অভিযোগ শুনে উল্টো পারুল বেগম কিশোরীর মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ওই সময় কিশোরীর মাকে হুমকি দিয়ে মৃদুল বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে।
মাকে তাড়িয়ে দেয়া ও হুমকির কথা শুনে ওইদিন রাতেই নিজ বাড়ির রান্নাঘরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই কিশোরী।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মঞ্জুরুল কাদের বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই কিশোরী মারা গেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ