আজ শুক্রবার, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দৃশ্যমান হচ্ছে বন্দরের মহিলা শ্রমজীবি হোস্টেল

দৃশ্যমান হচ্ছে বন্দরের মহিলা

দৃশ্যমান হচ্ছে বন্দরের মহিলা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বন্দরে শ্রম মন্ত্রনালয়ের অধীনে শ্রমজীবি নারীদের জন্য স্বল্প মূল্যে বসবাসের জন্য মাননীয় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ জনাম একেএম সেরিম ওসামনের এর ঐকান্ত প্রচেষ্টায় গত ৭ই জুলাই,২০১৮ইং তারিখে ৭০০ আসনের নারী শ্রমজীবি হোস্টেল ও ৫ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এর সুবিধাসহ নির্মান কাজের শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবল হক। প্রায় ৫৫ একর জমির উপর প্রায় ৫৪ কোটি টাকা ব্যযে নয় তলা বিশিষ্ট আধুনিক সবধরনের সুবিধা সহ এই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং এটার নির্মাজ কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনা কল্যান সংস্থাকে এবং কাজের বাস্থবায়নের সময় দেওয়া হয় ২০২০সাল ।

সরজমিনে দেখা যায় যে, এটার বাস্থবায়নের কাজ সেনা কল্যান সংস্থা খুব দ্রুতগতিকে শুরু করছে। শ্রমিকেরা রাত-দিন দুই শিফটে কাজ করে যাচ্ছে। মাটির নীচের পাইলিং এর কাজ শেষে পিলারগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে এবং অন্য অংশে ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়েছে। তারা আশা করছে নির্ধারিত সময় ২০২০সালের মধ্যেই এটার বাস্থবায়ন করবে তারা। দেশের মহিলা শ্রমিকরা কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যেমন বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ,নেত্রকোণা, কিশোরগ্ঞ্জ ইত্যাদি জেলা থেকে ধনী জেলা শিল্প-নগরীতে কাজের জন্য নারায়ণগঞ্জে এসেছে। এদের বেশিরভাগ শ্রমিকই বন্দরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ী ভাড়া থাকে। এই সমস্ত শ্রমিকের আয়-উর্পাজন কম হওয়ার কারণে অনেক সময় বাড়ী ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে তারা বহু কষ্টে দিনযাপন করে। মূলতঃ তাদের কথাই চিন্তা করে বিকেএমই এর মাননীয় প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় সংসদের নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের মাননীয় সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান শ্রম মন্ত্রানালয়ের মাধ্যমে এটার বাস্থবায়নের জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালান এবং পরবতীর্তে শ্রম মন্ত্রানালয় এটার বাস্থবায়নের বাজেট পাশ করে। এটার বাস্থবায়নের পর বিপুল সংখ্যক মহিলা শ্রমজীবি উপকৃত হবে এবং তাদের অবস্থার উন্নতি হবে। যেহেতু এখানে ৫ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকবে তাই তারা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাও পাবে। বর্তমান সরকার নারী-পুরুষ সম-অধিকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মহিলারা পুরুষের তুলনায় অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রধান খাত গার্মেন্টস শিল্পে বেশিরভাগ শ্রমিকই মহিলা তাই তারা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে। তাই বর্তমান সরকার যেন এমনিভাবে সরকারী পর্যায়ে আরো শ্রমজীবি মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করলে দেশের অসহায় মহিলারা বিশেষভাবে উপকৃত হবে এবং দেশ একদিন উন্নত বিশ্বের কাতারে দাড়াঁবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ