আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দুর্ভোগের আরেক নাম সৈয়দপুর কদমতলি ব্রিজ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
জীবনকে বাজি রেখে সৈয়দপুর কদমতলী রাস্তা পারি দিতে হচ্ছে গাড়ি চালক সহ সাধারণ যাত্রীদের। খাদে পড়ে গাড়ি দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটছে প্রতিদিন। দিন শেষে রাতের অন্ধকার নামলেই ঘটছে দুর্ঘটনা এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। অপর দিকে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে নেই কোনো বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা । রাস্তার পাশে নির্মাণ হচ্ছে সৈয়দপুর ব্রীজ। কিন্তু সেই ব্রীজ এর কাজ চলছে ধীর গতিতে এমনটি অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের ।

সরেজমিনে দেখা যায় সৈয়দপুরে যে রাস্তাটি রয়েছে সে রাস্তাটি বেশ উচু নিচু আর ভাঙ্গা। রাস্তার পাশেই একটি ব্রীজ আছে যার নির্মান কাজ অর্ধ অবস্থায় রয়েছ। জানা যায় এ ব্রীজটি ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভি। ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ৫মার্চ ২০১৭ সালে এবং নির্মাণ করার জন্য সরকার বাজেট করেছিলো ৬ কোটি ১৫ লক্ষ ১০ হাজার ৮ শত ১০ টাকা ৬৭৪ পয়সা ।

স্থানীয় নুরু মিয়া বলেন, প্রায় ৩ বছর ধরে সৈয়দপুর ব্রীজ এর কাজ হচ্ছে। কবে যে ব্রীজটির কাজ শেষ হবে ১৮ নং কাউন্সিলর কবির হোসেন তা বলতে পারবে এবং তিনি আরো বলেন, সৈয়দপুরে যে রাস্তাটি রয়েছে সেই রাস্তায় প্রতিদিন গাড়ি খাদে পড়ে যায়, গাড়ি উল্টে পড়ে ও দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে যে ব্রীজটি আছে মাঝে মধ্যেই কাজ করতে দেখা যায় শ্রমিকদের। এমনকি এ রাস্তা নেই কোনো বাতি।

কেয়ার টেকার আব্দুল লতিফ বলেন, আমি এখানে এই ব্রীজের মালপত্র দেখাশোনা করি ৪ মাস যাবত । এরাস্তায় ২টি বাতি ফিট করা ছিলো, কিন্তু তা তুফানো ভেঙে পড়ে গেছে। এ রাস্তাটিতে যে কোনো একটা মারাত্বক জিনিস আছে হের আস্তানাটা ভেঙে ফেলছে । অর একটা টাইম আছে তার টাইম মতোই রাস্তায় আসে। ঠিক সন্ধ্যার সময় রাস্তায় আসে ঠিক ঐ সময়ই বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। তার জন্য এ রাস্তায় এত বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এখনো এই ব্রিজে যারা কাজ করেন তারা দিনের ১২ টা পর্যন্ত কাজ করে তারপর অন্য জায়গাতে কাজ করতে হয়। আর যে কন্ট্রেকটার আছে তার নাম গিয়াস উদ্দিন । তিনি ১১-১২টি ব্রিজের কাজ করতাছে। আমার জানা সত্বে এ ব্রিজের কাজ আরো এক বছর লাগতে পারে কারণ সামনে আষাঢ় মাস তাই দেরি হতে পারে।

সৈয়দপুর ব্রীজ নির্মাণের কন্ট্রেকটার গিয়াস উদ্দিন সংবাদ চর্চাকে বলেন, সৈয়দপুর ব্রীজ নির্মাণের কাজ শেষ হবে ঈদের পর অর্থাৎ জুন জুলাই মাস লাগতে পারে । এ পর্যন্ত কত টাকা ব্রিজ নির্মাণে কাজে ব্যয় হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না কত টাকা খরচ হয়েছে, দেখে বলতে হবে ঠিক কত টাকা খরচ হয়েছে। এখন আমার মনে নেই কত টাকা খরচ হয়েছে। খরচের বিষয়ে জানতে পরে যোগাযোগ করতে বলেন এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক।

নির্মানাধীন ব্রীজের বিষয়ে ১৮ নং কাউন্সিলর কবির হোসেন সংবাদচর্চাকে বলেন, ব্রীজের কাজ চলছে তবে ব্রীজ নিয়ে কথা বলার সময় এখন পর্যন্ত আসেনি। আরো মাসেক খানি লাগবে তবে অগ্রগতি হচ্ছে। ব্রীজ নির্মাণের কাজ শেষ হতে প্রায় ২ মাস লাগবে। আর আপনারা সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পারেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ