আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দু’জনার দু’টি পথ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ
এক সময়ে এক সঙ্গে সভা-সমাবেশ করতেন। মিছিলে হাঁটতেন পাশাপাশি। তবে এখন এই দুই নেতার মধ্যে যোজন যোজন ফারাক। তেমন দেখা সাক্ষাৎ নেই, বন্ধ কথাবার্তা আর দলীয় কর্মসূচী পালন করেন আলাদা ভাবে। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, আদর্শগত অনেক দিকে মিল থাকলেও তাদের মধ্যে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর-দক্ষিণ মেরু। যে বাধা টপকানোর সাহস নেই শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মেদ রেজা উজ্জল এর।

বিএনপি-জামায়াত জোট নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারের আমলে সাজনু ও উজ্জলের নেতৃত্বে শহর যুব লীগের মিছিল মিটিং হতো। দলের কর্মসূচী হতো একসঙ্গে। আওয়ামীলীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ কমিটির গ্রহনযোগ্যতা ছিলো বেশ। শহরে দলীয় সমাবেেেশ সবচেয়ে বেশী লোক জড়ো করতো যুবলীগ। এমনকি তখনকার পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীতেও বাস ভরে যুব লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিতো। দলীয় সূত্র জানায়, শামীম ওসমান যতদিন প্রবাসে ছিলেন ততদিন একতা বজায় ছিলো। তিনি দেশে আসার পর ফের শহরের উত্তর-দক্ষিণ মেরুর বিবাদ চরমে উঠে।
এ দ্বন্দ্বে দূরত্ব তৈরী হয় শহর যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতার। এখন তারা দলীয় কর্মসূচী পালন করলেও কারও সাথে কারও দেখা হয় না। এক প্রোগ্রাম একজন সকালে করলে অপরজন করেন বিকেলে। এদিকে এ দ্বন্দ্বের কারনে শহর যুব লীগ মহানগরে রূপ নিতে পারেনি বলে জানা গেছে।

সূত্র মতে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ২৫ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু ও সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মেদ রেজা উজ্জল। রাজনীতি সচেতন মহলের মতে, ওই সময়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন ছিলো শহর যুবলীগ। তবে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ে শহরে আওয়ামীলীগের পুরনো সেই উত্তর ও দক্ষিন পন্থী নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এক পক্ষ শামীম ওসমান এর পক্ষে যান অপর পক্ষ যায় ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর দিকে।

এদিকে দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষোভ জন্মেছে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে। অনেকের মতে, নতুন কমিটি না হওয়ায় অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে যুবলীগ। নতুন নেতৃত্বও তৈরী হচ্ছে না। সূত্র জানায়, শামীম ওসমান এমপি অনেক আগে কেন্দ্রে একটি কমিটির তালিকা জমা দিয়েছেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক উজ্জলও একটি কমিটি জমা দিয়েছেন। দুই পক্ষের দুই কমিটি নিয়ে কিছুটা বিব্রত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আর এ কারনেই এ কমিটি গঠন আটকে গেছে বলে জানা গেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ