আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দিল্লিতে করোনায় তাবলিগের ৭ জনের মৃত্যু

অনলাইন রিপোর্ট:

দিল্লির একটি মসজিদে অনুষ্ঠিত তাবলিগ জামাত থেকে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ওই তাবলিগে যোগ দিয়ে বহু মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। খবর এনডিটিভির।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে আপ সরকার। ওই মসজিদটি সিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনায় দিল্লির ওই মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে পুলিশকে মামলা (এফআইআর) করার নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।

পাশাপাশি দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের মসজিদ থেকে কমপক্ষে ৮৫০ জনকে অন্য একটি জায়গায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কম করে ২০০ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তার জন্য পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।

এদের মধ্যে ২৪ জনের শরীরে ওই সংক্রমণ হয়েছে বলেও প্রমাণ মিলেছে। সংক্রমিতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে দিল্লি সরকার।

জানা গেছে, গত ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে দিল্লির ওই মসজিদে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল।

দিল্লিতে ওই মসজিদে শুধু ভারত নয়, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও মানুষ এসে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সেখান থেকেই ব্যাপক হারে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ভারতে সব রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার অনুরোধ জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এরই মধ্যে ওই নিয়ম উপেক্ষা করে এই মাসের শুরুর দিকে ১০০ বছরেরও পুরনো ওই মসজিদে ওই ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

১৯২৬ সালে স্থাপিত ওই মসজিদে পৃথিবীর নানা দেশ থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ওই তাবলিগ জামাতে যোগদান আসছেন।

ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর করোনা সংক্রমণের কারণে প্রাণ খোয়াতে হয় তেলেঙ্গানার ছয় বাসিন্দাকে, মারা গেছেন শ্রীনগরেরও এক ব্যক্তি।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে ওই জমায়েতে অংশ নেয়া ৯ ব্যক্তির মধ্যে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির স্ত্রীর দেহেও মিলেছে ওই প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ