আজ বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এই প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের কীর্তি গড়ল টাইগাররা। সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৫৫ রানে লক্ষ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১৪১ বল হাতে রেখেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই সিরিজ জয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী বাংলা গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শিরোনাম করেছে- ‘ইতিহাস বাংলাদেশের, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম সিরিজ জয় সাকিব, তামিমদের।’

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিহাস সৃষ্টি করল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বার এক দিনের সিরিজ জিতল তারা। রামধনুর দেশে এটাই বাংলাদেশের যে কোনও ফরম্যাটে প্রথম সিরিজ জয়। সেঞ্চুরিয়নে বুধবার তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিল তারা। প্রথমে বল হাতে দুর্দান্ত খেললেন তাসকিন আহমেদ। এর পর ব্যাট হাতে দাপট তামিম ইকবাল, লিটন দাসের।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সিদ্ধান্ত দলের কাজে লাগেনি। প্রথম উইকেটে ৪৬ রান উঠে গেলেও কুইন্টন ডি’কক ফিরে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৮৩ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। এর পর কোনও ব্যাটারই সে ভাবে দাঁড়াতে পারেননি। জানেমন মালান সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। কেশব মহারাজ করেছেন ২৮। এ ছাড়া কোনও প্রোটিয়া ব্যাটার উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এক দিনের ক্রিকেটে এটি তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন রান।

বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন তাসকিন আহমেদ। ৯ ওভারে ৩৫ রানে তিনি ৫ উইকেট নেন। ২ উইকেট সাকিব আল হাসানের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান। জবাবে শুরু থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকে বাংলাদেশ। লক্ষ্যমাত্রা কম থাকায় কোনও ভয় ছাড়াই খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস। মনে করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা বুঝি চাপে ফেলতে পারবেন তাদের।

কিন্তু কেউই দাঁত ফোটাতে পারেননি। কাগিসো রাবাডাকে একটি ওভারে চারটি চার মারেন তামিম। একই অবস্থা হয়েছে লুনগি এনগিডি, কেশব মহারাজদেরও। তবে অর্ধশতরানের আগেই ফিরে যান লিটন। কেশবের বলে ৪৮ রানে আউট হন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত খেলে যান তামিম ইকবাল। ৮২ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেরেছেন ১৪টি চার। ২০ বলে ১৮ করে অপরাজিত থাকেন সাকিব। জয়ের রানও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকেই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ