আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তৈমূর জিতলে যা হবে

নবকুমার:

দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য বিভিন্ন অধিকার আদায়ে লড়াই- সংগ্রাম করে যাচ্ছেন বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকার । তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রস্তাবকারী। নগরে খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে তার আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে । তিনি রাজপথ ছেড়ে যাননি। তিনি এখনো শহরে রিক্সাচালক সমিতির সভাপতি। তার নেতৃত্বেই এ সংগঠনের যাত্রা শুরু। তিনি ভূমিদস্যুদের গলারকাটা। কৃষকের জমি ও ভিটামাটি রক্ষার দাবিতে তাকে রাজপথে দেখা যায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ’র (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান হন। এরপর তিনি নারায়ণগঞ্জের এক হাজারের অধিক বেকার লোককে বিনা পয়সায় চাকরি দিয়েছেন, তাদের জন্য তিনি জেল খেটেছেন। সফলতার সাথে তিনি বর্ধির সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার তদবিরে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার মানুষ গ্যাস সংযোগ পেয়েছে। নগরবাসীর গণদাবির প্রেক্ষিতে এবার তিনি আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী হওয়ার পর তৈমূর আলম খন্দকার বিরোধী দলগুলোর সমর্থন পাচ্ছেন । তার দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা তার পক্ষে মাঠে রয়েছে। তিনি হকারদের পক্ষের শক্তি। তিনি প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে নগরীর হকার সমস্যা সমাধান করবেন তিনি। হকারসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এখন তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন। নারায়ণগঞ্জকে ঢেলে সাজানোর জন্য তার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে শীতলক্ষ্যায় ট্যানেল ও ব্রীজ নির্মাণ করবেন তৈমূর আলম খন্দকার। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ত্বকমা থেকেও মুক্ত করার ঘোষণা করেছেন বিএনপির এ নেতা।

তৈমূর বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (মেয়র) গত ১৮ বছরের ব্যর্থতার কারনে নগরবাসী এখন ঐক্যবদ্ধ। তারা এখন পরিবর্তন চায়। এ কারনে আগামী ১৬ জানুয়ারী পরিবর্তন হবে হওয়া বইবে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দর একত্রিত করতে পারেনি। বন্দর একটি গরুত্বপূর্ণ জায়গা কিন্তু বন্দরের বাসিন্দারা অবহেলিত। আগের মেয়র নারায়ণগঞ্জ-বন্দর শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ করতে পারে নাই।

নাগরিক সেবা ও নাগরিকদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি এই নির্বাচনে নেমেছেন। নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে অযাচিত ভাবে যে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং পানির যে নতুন ট্যাক্স ধার্য্য করা হয়েছে এবং বিভিন্ন যে জটিলতা এসব সহ জনদুর্ভোগ কমানো। হোল্ডিং ট্যাক্স পানির ট্যাক্স কমানো হবে। ট্রেড লাইসেন্সও পূর্বের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। জনগনের হয়রানি হবে না, তাদের সেবা বৃদ্ধি করা হবে। খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি দেয়া যাবে না। তৈমূর বলেন, ‘নগরীতে হকার’ এটা এমন কোনো সমস্যা না যে, সমাধান করা যাবে না। আজকে যারা পাওয়ার পয়েন্ট, তারা আলাল-দুলাল খেলায় ব্যস্ত। মেয়র ডাইনে গেলে, এমপি যায় বায়ে। আরেকটা হল চোর-পুলিশ খেলা। হকাররাও তো বিপদে আছে। তাদের এখানে বসতে হয়, পুলিশকে টাকা দিয়ে। যতক্ষণ টাকা দেয়, ততক্ষণ বসতে পারে, এরপর বসতে পারে না। হকাররাও এ দেশের মানুষ। তাদের সমস্যারও সমাধান হবে। একই সাথে নারায়ণগঞ্জের নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করার ব্যবস্থা করা হবে। নারায়ণগঞ্জকে ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন সিটি করবেন। নারায়ণগঞ্জ শহর হবে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর। এর জন্য নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি খালি জায়গায় গাছ রোপণ করা হবে। ছাদবাগনের মাধ্যমে মানুষের খাবারেরও যোগান হবে। ছাদবাগান যারা করবে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স কমিয়ে উৎসাহিত করা হবে। জনগণের মতামত প্রাধান্য পাবে। প্রশাসনের মতামতের ওপর তিনি নির্ভর করবেন না। স্থানীয় সাংসদের সাথে মিলেমিশে তিনি নগরের উন্নয়ন করবেন। বিএনপিও এগিয়ে যাবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষরা চালকের আসনে থাকবে।

রাজনৈতিক সচেতন মহল বলছে, তৈমূর হারলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি আর সুসংগঠিত হতে পারবে না। বিষয়টি তাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। বিএনপির গুটি কয়েক নেতা তার বিরোধীতা করছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ