আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘তৈমূরের মাইক ম্যান গ্রেফতার ’

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

জাহাঙ্গীর কবির নানকের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ‘ঘুঘু দেখছে, ঘুঘু’র ফাঁদ দেখে নাই’ সেটার কার্যকারিতা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূল আলম খন্দকার। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তৈমূর আলমের নির্বাচনী সমন্বয় রবি হোসেন রবিকে আটকের পর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি এমন কথা বলেন।

তৈমূর আলম বলেন, কিছুদিন আগে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন তৈমূর আলমকে রাস্তায় নামতে দেয়া হবে না। এ ধরনের হুমকিতো চলছেই। আরেকটি সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন তৈমূর আলম খন্দকার ঘুঘু দেখছে, ঘুঘু’র ফাঁদ দেখে নাই। এই সময়ের মধ্যেই আমার লোকজনদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানকের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ‘ঘুঘু দেখছে, ঘুঘু’র ফাঁদ দেখে নাই’ সেটার কার্যকারিতা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে তৈমূল আলম বলেন, আমার মাইক ম্যানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে জোসেফকে গ্রেফতার করার জন্য তার বাড়ীতে হানা দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদের বাড়ীতেও পুলিশ হানা দিয়েছে। বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান আমার মিছিলে আসায় তার বাড়ীতেও পুলিশ গিয়েছে। তৈমূর আলম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমি এসপি সাহেবকে দেখা করতে চাই বলেছি। কারন এসপি ও ডিসি সাহেব তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন উনারা হয়রানি করবেন না। সম অধিকারের মাঠটা উনারা ঠিক রাখবেন বলেছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তার কিছুই বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
তৈমূর আলম জাতির কাছে বিচার দিয়ে বলেন, সরকার যে নির্বাচন দিলো, উনাদের যদি এই ইচ্ছাই থাকে উনাদের দলের লোককেই পাশ করাতেই হবে তাহলে নির্বাচনটা না দিয়ে তাদের লোককে সিলেকশন করে দিতো। সরকার যেটা ঘোষনা করে সেটাই হয়ে যায়। এ ধরনের হয়রানি করার কোন অর্থ নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় নিজ বাসা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে আটক করা নিয়ে যায় পুলিশ।

পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম মনিরুল ইসলাম রবিকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি, যার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে দুটি মামলায় তিনি জামিন নেননি। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবেই ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এসপি আরো জানান, আসামীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৯ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি মামলা দায়ের হয়। মামলা দুটির নম্বর যথাক্রমে ৩৩ ও ৩৪। ওই দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিলো। একারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও, নাশকতার দায়ে ২০১৮ সালের ৬ ও ৭ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরো দুটি মামলা রুজু হয়েছিলো। ওই দুই মামলায় তার জামিন ছিলো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ