আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তৈমূরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি জোড়ালো

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকারের বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে জেগে উঠছে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীরা। গতকাল ২৪ জানুয়ারি তৈমূর আলম খন্দকারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। সোমবার রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন ওলামা দলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শামসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ডাক্তার ইউনুস, নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন খান, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মহিবুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই তালুকদার, তারাবো পৌরসভা ওলামাদলের সভাপতি কামাল খান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ খান, বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম মিয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান।
সভায় বক্তারা বলেন বিএনপির পরিশ্রমি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি অচল হয়ে পড়বে, ডুবে মরবে শীতলক্ষ্যায়। অব্যাহতি পত্র প্রত্যাহার করা না হলে রাজপথে বিএনপি থাকবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সমস্যা নেই এমন বক্তব্যে তিনি এ নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। একই সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়। পরে বেগম খালেদা জিয়ার জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় গত ১৮ জানুয়ারি এড. তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে কাউন্সিলর হয় নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ গিয়াসের পুত্র মোঃ সাদরিল, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালামের ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশা। তারাও তৈমূরের মতো অপরাধী। তাদেরকে রহস্যজনক কারণে দল থেকে বহিষ্কার করেনি। তাতে নগর জুড়ে আলোচনা -সমালোচনা হচ্ছে।
দল থেকে বহিষ্কারের পর তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে। বিএনপি আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করবে এটা আমি এখনও বিশ^াস করি না। আমি বিএনপিকে খুব ভালোবাসি। আমার মেয়েও বিএনপি করে, আমার ভাই,ভাতিজা সবাই বিএনপি করে। আমি বিএনপিকে ছেড়ে কোথায় যাবো । এতো দিন বিএনপির জন্য গুলি খাইলাম , মার খাইলাম,জেল খাটলাম ,গরুর মতো আমাকে পুলিশ পেটায়ছে আমি বিএনপির ব্যানারটা ছাড়ি নাই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ