আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তিতাসে হতাশ মানুষ

#তল্লায় টাকা চাইছে,স্বাক্ষি নাই ॥ শহর ভরা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফতুল্লার তল্লায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস থেকে গঠিত কমিটি তাদের দায় এড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে ডেকে নিয়ে ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না এমনটাই প্রমানের চেষ্টা করেছে বলে জানান গফুর মেম্বার। এর আগে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সভাপতি। এদিকে তিতাসের বিরুদ্ধে আরও নানা অভিযোগ উঠছে। বলা চলে তিতাসের সেবায় অনেকটা হতাশ মানুষ।

গতকাল বিকেল ৪টা থেকে চলমান তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে ৬টায় তিতাস ভবন থেকে বের হন মসজিদ কমিটির সভাপতি গফুর মেম্বার। এর পরেই তিনি কর্মকর্তাদের কাছে দেয়া বক্তব্য গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, আমাকে ভেতরে (তদন্তকারী কর্মকর্তারা) জিজ্ঞেস করা হয়েছে মসজিদের নিচে গ্যাস লাইনে সমস্যার অভিযোগ নিয়ে আমি তিতাস ভবনে এসেছিলাম কিনা। তখন আমি তাদের উত্তরে বলেছি আমি আসিনি কিন্তু আমাদের কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসেছে। এই উত্তরে তারা পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন আপনি তো উপস্থিত ছিলেন না। আমি তখন বলি, আমি ছিলাম না কিন্তু আমাদের প্রতিনিধি ছিল। তখন কর্মকর্তারা আমাকে বলেন আপনি ছিলেন না এটি লিখেই স্বাক্ষর করেন। পরে তাদের দেয়া ফরমে সেই কথাই স্বাক্ষর করে আসি।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সেক্রেটারি এখানে এসে অভিযোগ দেয়ার পর তাকে জানানো হয় লিক সাড়াতে ৫০ হাজার টাকা দেয়া লাগবে। তিনি আমাদের বিষয়টি অবগত করলে আমরা সিদ্ধান্ত নেই এলাকাবাসীর থেকে টাকা উঠিয়ে এই কাজ করাবো কারন আমাদের হাতে এত টাকা ছিল না। টাকা তুলতে তুলতেই এই দুর্ঘটনা ঘটে গেলো।

তবে বিকেল থেকেই চলমান বৈঠকে গণমাধ্যমক কর্মীদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি। কোন সাংবাদিককেই ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বার বার বলা হয়েছে বৈঠক শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের অবগত করা হবে। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবার পরেও কোন প্রকার বক্তব্য দিতে না আসায় বেশ কয়েকবার গণমাধ্যমকর্মীরা ভেতরে যেতে চায়। কিন্তু প্রতিবারই উপর মহলের দোহাই দিয়ে বাধা দেয়া হয় প্রবেশ পথে।

দুর্ঘটনার প্রথম থেকেই তিতাসের ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবীকে সামনে এনে আলোচনা হয়েছে বার বার। এনিয়ে তিতাসের ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচ তদন্ত কমিটিতে ডেকে এনে মসজিদ কমিটির সভাপতিকে যেভাবে স্বাক্ষর করা হয়েছে তাতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায় ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ। ইতোমধ্যে বিস্ফোরণে মৃত্যু বরণ করেছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ফলে যিনি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবীর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনিই চলে গেলেন পরপারে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ