আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তারা গেল কই

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

জাতীয় নির্বাচন এলে তাদেরকে এলাকায় দেখা যায়। নির্বাচন শেষে তারা কোথায় যায় কর্মীরা তাদেরকে খুঁজে পায় না। সাধারণ লোক তো তাদের ছায়াও দেখতে পায় না। দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাদেরকে দেখা যায় খুব কম । বয়সের কারণে আবার অনেকে অসুস্থ থাকে। এরা হলেন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।

গত নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। সম্প্রতি নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় তাকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করেছিলো ডিবি পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জ ৫ (সদর-বন্দর) আসনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী করা হয়েছিলো সাবেক এমপি নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে। জাতীয় নির্বাচনের পর তাকে জনসম্মুখে দেখা যায় না।

নারায়ণগঞ্জ-১ ( রূপগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। রূপগঞ্জসহ তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে কাছে পাচ্ছে না। জেলা কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আড়াইহাজারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরকে বাদ দিয়ে গত সংসদ নির্বাচন সেখানে বিএনপি প্রার্থী করেছিলো নজরুল ইসলাম আজাদকে। বিশাল ভোটের ব্যবধানে আজাদ হেরে যায়। সুত্রের খবর কর্মীরাও তাকে সময় মতো কাছে পায় না। ২০২৩ সালের শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচন ঘিরে তারা কি করবেন সেটা এখন দেখার অপেক্ষা।

দলের একাধিক নেতা এই প্রতিবেদক বলেন, গত নির্বাচনের পর থেকে তাদেরকে এলাকায় খুব কম দেখা যায়। তারা কে কই গেল তা নিয়েও হতাশ কর্মীরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ