আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডিমলায় গৃহবধূ হত্যার আসামী গ্রেফতার

ডিমলা(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ-নীলফামারীর ডিমলায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে দ্বিতীয় স্ত্রী গৃহবধূ মহসিনা(৩৫)খুনের আলোচিত মামলার প্রধান দুইজন আসামী স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল(৫৫) ও তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান মুরাদ হোসেন(২০)কে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ও ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ। গত শনিবার দুপুরে গ্রেফতাকৃতদের আদালতে হাজির করা হলে নীলফামারী সিনিয়র চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা মামলার প্রধান (১নং)আসামীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামীদের কারাগারে পাঠায়।

এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা,এএসআই আঃ রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে গত বুধবার বিকেলে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিয়াঘাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই ওলাকার বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন মন্ডলের প্রথম স্ত্রীর সন্তান ও মামলার ২নং আসামী মুরাদ হোসেন কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতারকৃতকে সাথে নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সোহেল রানার নেতৃত্বে,এএসআই রাজ্জাক,এএসআই আব্দুল লতিফ সহ সঙ্গীয়ফোর্স মামলার প্রধান ১নং আসামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডলকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করে গত শুক্রবার রাতে ডিমলা থানায় নিয়ে আসেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিমলা থানার ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা বলেন,প্রধান আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তবে আমরা বিস্তারিত তদন্ত করে দেখব এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কিনা।

ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মামলার ১নং আসামী ও হত্যার শিকার গৃহবধুর স্বামী মোফাজ্জল হোসেন একাই স্ত্রী হত্যার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।
উল্লেখ্যঃ-গত মাসের ২৫শে ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনগত ভোররাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়ার নামাজি পাড়া গ্রামে পরকীয়া সন্দেহে চিরকুট লিখে রেখে ঘরের সিঁদ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রী মহসিনা বেগম(৩৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল(৫৫)।নিহত গৃহবধু ওই এলাকার মৃত বানার উদ্দিনের কন্যা। পরে খবর পেয়ে ডিমলা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠান।সে সময়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল।এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মোফাজ্জল হোসেন মন্ডল ও তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান মুরাদ সহ নামীয় দুইজন ও অজ্ঞাত আরো ২/৪ জনের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় মামলা নং-১৮,তাং-২৬/২/২০২০ইং দায়ের করেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ