আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডিজিটাল মেলার উদ্বোধন

পর্দা উঠলো তিনদিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা- ২০২০’র। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে (বিআইসিসি) প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় এই মেলার উদ্বোধন করেন। এর ফলে দেশে প্রথমবারের মত ফাইভ জি-এর অভিজ্ঞতা পাবে জনসাধারণ। টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফাইভ জি ডিভাইস প্রদর্শন করবে।

‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এবারের মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন।

জানা যায়, হিউম্যান-টু-মেশিন বা মেশিন-টু-মেশিন যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকছে এই মেলায়। এর মাধ্যমে একটি ইন্টারেক্টিভ হিউম্যানয়ে রোবট হাতের ইশারার নির্দেশে সকার খেলবে। অন্য একটি প্লে-জোনে দর্শনার্থীরা ফাইভ জি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) পরীক্ষা করতে পারবেন। দর্শনার্থীদের ফাইভ জি ভিআর লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজেদের তুষারে স্কিইং-এ দেখতে পারা যাবে। এছাড়া সেখানে হুয়াওয়ের ফাইভ জি মোবাইল ফোনও মেলায় পাওয়া যাবে। দর্শনার্থীরা হুয়াওয়ে ফাইভ জি স্মার্টফোনগুলোর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এবং মেলায় বিদ্যমান মোবাইল ফোনগুলোও কিনতে পারা যাবে।

এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো ডিজিটাল প্রযুক্তির অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে তুলে ধরা, উপযুক্ত মানবসম্পদ নিশ্চিত করা, জনসাধারণ এবং উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রচারাভিযানের অগ্রগতি প্রদর্শন করা।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত এই মেলায় অংশ নিচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের সরকারি এবং বেসরকারি বেশ কয়েকটি সংস্থা। পাশাপাশি মেলায় থাকছে মোট ১০০টি স্টল, প্যাভিলিয়ন এবং মিনি প্যাভিলিয়ন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ