আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ট্রাম্পের নতুন চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন বন্ধে ট্রাম্প যদি নতুন চুক্তি (ট্রাম্প চুক্তি) করতে চান সেটিকে সমর্থন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিবিসিকে তার দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকার গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। এরপর গতকাল রাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে টুইট করেছেন। তবে আজ বুধবার ট্রাম্প চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।

মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়, বরিস জনসন জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় দেশের করা চুক্তিকে এখনও সমর্থন করেন। তবে বর্তমান চুক্তির পরিবর্তে ট্রাম্প যদি নতুন কোন চুক্তিতে আসতে চান তাতেও তিনি সমর্থন করবেন।

তিনি বলেন, ‘আমেরিকান বন্ধুদের প্রতি আমার আহ্বান যেকোনো মূল্যে ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। বর্তমান চুক্তি থেকে যদি আমরা সরে আসি তাহলে এর পরিবর্তে নতুন চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রস্তাবের পর গতকাল রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরিস জনসনকে ট্যাগ করে এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমাদের উচিত ইরানের চুক্তির জায়গায় ট্রাম্প চুক্তি প্রতিস্থাপন করা।’

এরপর আজ বুধবার ‘ট্রাম্প চুক্তি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে ইরান। ইরানের প্রধান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই প্রস্তাবকে ‘অদ্ভুত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাছাড়া ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন রুহানি। আজ এক টেলিভিশন বিবৃতিতে রুহানি ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ থেকে বিরত রাখতে ২০১৫ সালে ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অ্যাকশন’ নামের একটি চুক্তিতে পৌঁছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং চীন। এই চুক্তির শর্ত ছিল ইরান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ থেকে সরে আসবে বিনিময়ে ইরানের উপর আরোপিত সকল অবরোধ তুলে নেওয়া হবে। তবে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইরানের উপর নানা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

সূত্র: রয়টার্স

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ